সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান সেরে আপ্লুত তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বললেন, এ এক দারুণ অভিজ্ঞতা। ব্যবস্থাপনা তুলনাহীন। আয়োজকদের কুর্নিশ জানিয়ে দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বললেন, “দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনাই। সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে।”
১৩ জানুয়ারি অর্থাৎ মকর সংক্রান্তিতে প্রয়াগরাজে শুরু হয়েছে কুম্ভমেলা। ইতিমধ্যেই পূণ্যস্নান সেরেছেন প্রায় ৪০ কোটি মানুষ। সরস্বতী পুজোয় প্রয়াগরাজে গিয়েছিলেন হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুণ্যস্নান সেরে যোগী সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করলেন তিনি। বললেন, “দারুণ অভিজ্ঞতা হল। কুম্ভের ব্যবস্থাপনা তুলনাহীন। দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনাই। কিন্তু কুর্নিশ আয়োজকদের। কোটি কোটি মানুষের শৌচাগার থেকে শুরু করে থাকার ব্যবস্থা, সবটা করা হয়েছে সুন্দরভাবে। জলে নেমে যাতে কেউ ডুবে না যান, সে জন্যও ব্যবস্থা রয়েছে। গোটা ব্যবস্থা প্রশংসনীয়।” দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনা ঘটার পর উত্তরপ্রদেশ সরকার আরও বেশি তৎপর ও সর্তক হয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৪৪ বছর পর বিরল ত্রিবেণী যোগ পড়েছিল মহাকুম্ভে। গত সপ্তাহে মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে ছিল দ্বিতীয় পুণ্যস্নান। রাত ২টো নাগাদ সঙ্গমে স্নানের উদ্দেশে জড়ো হন পুণ্যার্থীরা। ১০ হাজারের বেশি মানুষ একসঙ্গে স্নান করতে ভিড় জমান। তখনই ১১ থেকে ১৭ নম্বর খুঁটির মাঝের ব্যারিকেড ভিড়ের চাপে ভেঙে যায়। যার জেরেই মৃত্যু হয় ৩০ জন পুণ্যার্থীর। এরপরই যোগী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তৃণমূল সাংসদের গলায় শোনা গেল অন্য সুর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.