Advertisement
Advertisement

মেজর আদিত্যের নাম নেই এফআইআর-এ, সুপ্রিম কোর্টে জানাল মুফতি সরকার 

বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালানোর দায় থেকে রেহাই মেজরের।

Major Aditya not named in Shopian FIR: Kashmir govt to SC
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 5, 2018 5:17 pm
  • Updated:September 14, 2019 2:02 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে চাপের মুখে নতিস্বীকার করল জম্মু ও কাশ্মীর সরকার। সোপিয়ান গুলিকাণ্ডে দায়ের হওয়া এফআইআর-এ মেজর আদিত্যর নাম নেই। পূর্ববর্তী অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই জানাল মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির সরকার।

[সোপিয়ানে বাধ্য হয়ে গুলি চালাতে হয়েছে, স্পষ্ট করল সেনা]

Advertisement

গত ২৭ জানুয়ারি সোপিয়ানে বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালাতে বাধ্য হয় সেনা। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় তিন বিক্ষোভকারীর। তারপরই সেনার বিরুদ্ধে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালানোর লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। সেখানে মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম ছিল মেজর আদিত্যর। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানায়, দুই সেনা অফিসারের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় খুন, ৩০৭ ধারায় হত্যার চেষ্টার অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছে। ওই ঘটনায় দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে তীব্র বিক্ষোভ। সেনাবাহিনীর সমর্থনে একাধিক মিছিলও বের করা হয়। তারপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মেজর আদিত্যের বাবা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল করমবীর সিং। ছেলের বিরুদ্ধে দায়ের অভিযোগ খারিজ করার জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান তিনি।

Advertisement

এদিন এই মামলারই শুনানি চলে শীর্ষ আদালতে। যদিও আগাগোড়াই মেজর আদিত্যকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে মুফতি সরকার, এদিন আদালতে তারা জানায় এফআইআর-এ নাম নেই মেজরের। শুনানি চলাকালীন রাজ্যকে কড়া বার্তা দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তিন বিচারপতির বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, ‘মেজর আদিত্য সেনাবাহিনীর একজন পদস্থ অফিসার। তাঁর সঙ্গে সাধারণ অপরাধীর মতো ব্যবহার করতে পারে না কাশ্মীর পুলিশ।’ উল্লেখ্য, গত মাসে সুপ্রিম কোর্ট সাফ নির্দেশ দেয়, সোপিয়ান কাণ্ডে অভিযুক্ত সেনাবাহিনীর অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না মুফতি সরকার। তারপরই এদিনের রায় সেনাবাহিনীর পক্ষে বড়সড় জয়। এর ফলে জওয়ানদের মনোবল বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

[‘রাম মন্দির বিবাদ না মিটলে ভারত একদিন সিরিয়া হয়ে যাবে’]

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা জানান, কাশ্মীরে প্রাণ হাতে নিয়ে লড়াই করেন সেনার জওয়ানরা। তাঁদের অনুশাসনের জন্যই পাথর ছুড়েও পার পেয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা। আত্মরক্ষার জন্যই বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালাতে বাধ্য হয় জওয়ানরা। এমন পরিস্থিতিতে তাঁদেরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালে সেনাবাহিনীর মনোবলে বিরূপ প্রভাব পড়বে। তাই এদিনের সিদ্ধান্ত সেনার পক্ষে বড়সড় জয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ