Advertisement
Advertisement

Breaking News

নাবালিকাকে খুন ও ধর্ষণ, গণপিটুনিতে হত অভিযুক্ত

ঝাড়খণ্ডের দুমকার ঘটনা।

Man accused of raping, killing minor lynched by mob in Jharkhand
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 30, 2017 10:29 am
  • Updated:June 30, 2017 10:33 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  গো-রক্ষার নামে বা গো-মাংস বহন করার অভিযোগে গণপিটুনির ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। দেশের ১১টি শহরে আলাদাভাবে সমবেত হয়ে গণপিটুনির প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষ ও সেলিব্রিটিরা। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরইমধ্যে ফের একটি গণপিটুনির ঘটনা প্রকাশ্যে এল। তবে গো-রক্ষার নামে নয়, এবার ঝাড়থণ্ডের দুমকায় আট বছরের এক বালিকা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মেরে ফেলল উন্মত্ত জনতা। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহে এই দুটি গণপিটুনির ঘটনা ঘটল বিজেপিশাসিত ঝাড়খণ্ডে।

[আজ মধ্যরাত থেকেই পালটে যাচ্ছে এই পরিষেবাগুলির খরচ]

Advertisement

বৃহস্পতিবারই ঝাড়খণ্ডের রামগড়ে গো-মাংস বহনের অভিযোগে গাড়ি থেকে নামিয়ে এক মাংস বিক্রেতাকে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান মহম্মদ আলিমুদ্দিন নামে ওই ব্যক্তি। আর এবার দুমকায় আট বছরের এক বালিকাকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মেরে ফেলল উন্মত্ত জনতা।

Advertisement

[ঝাড়খণ্ডে ফের গো-রক্ষকদের তাণ্ডব, পিটিয়ে খুন এক ব্যক্তিকে]

জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার একটি বিয়ে উপলক্ষ্যে দুমকা জেলার জালয়ে গ্রামে এসেছিলেন বছর আটেকের ওই বালিকা। স্থানীয় কয়েকজন মেয়ের সঙ্গে একটি পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিল সে। অভিযোগ, সেইসময় মিঠুন হাঁসদা নামে এক ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় সেখানে হাজির হয় এবং তাদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করতে শুরু করে। বাকিরা পালিয়ে গেলেও, আট বছরের ওই বালিকাকে অপহরণ করে মিঠুন। এরপর গ্রামের বাইরে নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে ওই বালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করে সে। পরে দেহটি নদী লাগোয়া ঝোপে ফেলে দেয়।

[ভারতীয় সেনার প্রতি সমর্থনে কী বার্তা দিলেন শেহবাগ?]

এদিকে বাড়ি না ফেরায়, ওই বালিকাকে খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করেন তাঁর বাড়ির লোকেরা। ওই মেয়ের সঙ্গে যারা পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিল, তাদের কাছ থেকে মিঠুন হাঁসদার কথা জানতে পারেন তাঁরা। এরপরই মিঠুনকে চেপে ধরেন গ্রামের লোকেরা। গ্রামের লোকেদের দাবি, চাপের মুখে খুন ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন নেয় মিঠুন। তাকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। পরে মিঠুন ও আট বছরের ওই বালিকার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ