Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘আত্মসমর্পণ করতে চাই’, স্ত্রীর কাটা মুণ্ডু হাতে থানায় স্বামী

ঘটনায় নৃশংসতা ভেবে শিউড়ে উঠছে পুলিশও।

Man chops off wife’s head, travels to police station
Published by: Tanujit Das
  • Posted:September 11, 2018 9:19 pm
  • Updated:September 11, 2018 9:39 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোপনে পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে স্ত্রী৷ এই সন্দেহে খুন করে , স্ত্রী-র মাথা কেটে থানায় আত্মসমর্পণ করল স্বামী৷ রবিবার রাতে এমনই নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকলেন কর্ণাটকের আজমপুর থানার পুলিশ কর্মীরা৷ হত্যাকারীর নাম সতীশ, বয়স ৩৫৷ কয়েক বছর আগে এ রাজ্যে ঘটে যাওয়া নাদিয়াল কাণ্ডের ছায়াই এবার পড়ল আজমপুরে৷ 

[নিজাম হতে চেয়েছিল চোর! সোনার টিফিনবাক্সে খাবার খেয়ে পুলিশের জালে]

Advertisement

জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম রূপা৷ বয়স ২৫৷ এলাকায় একটি মুরগির মাংসের দোকান চালাতেন তাঁরা৷ রবিবার, সকালে বাড়ি যাওয়ার নাম করে দোকান থেকে চলে যান রূপা৷ পরে সতীশ বাড়িতে ফিরে দেখেন তাঁর স্ত্রী ঘরে ফেরেননি৷ ফলে তাঁকে ফোন করেন সতীশ৷ কিন্তু ফোন ধরেন না রূপা৷ স্ত্রীর খোঁজ করতে বাইরে গেলে সতীশ দেখেন, অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঘনিষ্ঠ ভাবে গল্প করছেন রূপা৷ পুলিশকে দেওয়া বয়ানে সতীশ জানান, স্ত্রীর উপর দীর্ঘদিন ধরেই সন্দেহ ছিল তাঁর৷ তিনি বুঝতে পারেন পরকীয়ায় লিপ্ত স্ত্রী৷ ওইদিন তা আরও স্পষ্ট হয়৷ জানা গিয়েছে, স্ত্রীকে পরপুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে দেখার পরই দোকানে গিয়ে মুরগি কাটার চপার দিয়ে ওই যুবককে খুন করার প্রস্তুতি নেন সতীশ৷ তখনই তাঁর পথ আটকান রূপা৷ দু’জনের মধ্যে বচসা বাধে৷ একটা সময় পর বচসা চরমে পৌঁছলে শাড়ির ফাঁস দিয়ে রূপাকে হত্যা করে সতীশ৷ তারপরেও রাগ না মেটায় মুরগি কাটার চপার দিয়ে রূপার মাথা কেটে ফেলেন তিনি৷ সেই মাথা নিয়ে, বাইকে করে ২০ কিলোমিটার পাড়ি দেন তিনি৷ শেষে আজমপুর থানায় এসে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন৷

Advertisement

[ব্রিজ নেই, প্রাণ হাতে করে খরস্রোতা নদী পেরিয়েই স্কুলের পথে পড়ুয়ারা]

স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই সতীশ ও রূপার মধ্যে প্রেম ছিল৷ ২০১২-তে বাড়ির অমতে বিয়ে করেন দু’জনে৷ তাঁদের দুটি সন্তানও রয়েছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, ছ’মাস আগেও স্বামী সতীশের নামে থানায় অভিযোগ করতে আসেন রূপা৷ তাঁর অভিযোগ ছিল, সতীশ, তাঁর ও সন্তানদের খরচের টাকা দিচ্ছেন না৷ বরং তাঁদের উপর অত্যাচার করছেন৷ পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় তাঁদের সমস্যা মিটে যায় এবং পরে দু’জনে মাংসের দোকানও দেন৷ দোকান ঠিকঠাকই চলছিল৷ তবে রবিবারের ঘটনা অবাক করেছে কর্ণাটকের আজমপুর থানার পুলিশ কর্মীদের৷ ঘটনার বর্বরতায় শিউড়ে উঠছেন খোদ পুলিশ কর্মীরা৷

উল্লেখ্য, এই ঘটনার সঙ্গে অনেকে মিল পাচ্ছেন কয়েক বছর আগে এই রাজ্যে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার৷ বোনের কাটা মুণ্ডু হাতে নিয়ে নাদিয়াল থানায় হাজির হয়েছিল দাদা৷ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে সে৷ জানায়, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পরিবারের সম্মানহানি করছিল বোন৷ তাই তাকে হত্যা করেছে দাদা৷ সেই ঘটনার নৃশংসতায় চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা রাজ্যে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ