Advertisement
Advertisement
Godhra train carnage

১৭ বছর পরে গোধরা কাণ্ডে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তর জামিন সুপ্রিম কোর্টে

গুজরাট সরকার গোধরা কাণ্ডের অভিযুক্তদের জামিনের বিরোধিতা করেছিল।

Man convicted for pelting stones gets bail after 17 years। Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি

Published by: Biswadip Dey
  • Posted:December 15, 2022 7:33 pm
  • Updated:December 15, 2022 7:33 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত আগস্টে মুক্তি পেয়েছিল বিলকিস বানোর ধর্ষকরা। বৃহস্পতিবার জামিন পেল গোধরায় (Godhra train carnage) সাবরমতী এক্সপ্রেসে আগুন লাগানোর ঘটনার এক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহার বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে তার জামিনের নির্দেশ দিয়েছে নিম্ন আদালতকে।

উল্লেখ্য, এই মাসের শুরুতেই গোধরা কাণ্ডের অভিযুক্তদের জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেছিল গুজরাট সরকার। তারা জানিয়েছিল, গোধরার মতো ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে যুক্তদের কোনওভাবেই ছাড় দেওয়া যায় না। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ওই যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পাশবিক! যোগীরাজ্যে দুই কুকুরছানার কান, লেজ কেটে মদ্যপান করল যুবক!]

তার জামিনের বিরোধিতা করেছিলেন সরকারি আইনজীবী তুষার মেহতা। তিনি বলেন, জামিনের আবেদনকারী ব্যক্তি যে কেবল ট্রেনের ভিতরে থাকা মানুষদের বেরতে দেয়নি তাই নয়, সেই সঙ্গে উত্তেজিত জনতাকে উসকানিও দিয়েছিল। সে ট্রেনে পাথর ছুঁড়ে যাত্রীদের জখমও করেছিল। মেহতার মতে, পাথর ছোঁড়া খুব বড় কোনও অপরাধ না হলে, উক্ত পরিস্থিতি ছিল একেবারেই ভিন্ন।

Advertisement

এদিকে আবেদনকারীর আইনজীবী জানান, ওই ব্যক্তি গত ১৭ বছর ধরে কারাগারে বন্দি। কিন্তু তার বিরুদ্ধে একমাত্র অভিযোগ ট্রেনে পাথর ছোঁড়া। এই প্রসঙ্গে বেঞ্চ একটি ভিন্ন ঘটনার দিকেও নজর দেয়। এর আগে গোধরা কাণ্ডের আরেক অপরাধী স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে জামিন পেয়েছিল। এরপরই প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, ”১৭ বছর ধরে ওই ব্যক্তি বন্দি। আমার মনে হয় ওকে জামিন দেওয়া যেতে পারে।”

২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গুজরাটের গোধরা স্টেশনে সবরমতী এক্সপ্রেসের (Sabarmati Express) এস সিক্স কামরায় অগ্নিকাণ্ডে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়। এদের অনেকেই ছিলেন করসেবক। অযোধ্যা থেকে ফেরার পথে তারা ওই ঘটনার শিকার হন। তার জেরে সমস্ত গুজরাটে (Gujarat) ছড়িয়ে পরে হিংসা। ঠিক তার পরের দিন গান্ধীনগরের পালিয়াদ গ্রামে জ্বলে ওঠে সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুন। আক্রান্ত হয় বহু সংখ্যালঘু পরিবার। অভিযোগ ছিল যে, গোধরার সে দিনের ঘটনাটি পরিকল্পিত ভাবে ঘটিয়েছিল অভিযুক্তরা। ট্রেনের ওই কামরায় আগুন লাগানো হয়েছিল। এবং ট্রেনটি লক্ষ্য করে পাথরও ছোঁড়া হয়েছিল।

[আরও পড়ুন: শ্রদ্ধা-খুনের ছায়া যোগীরাজ্যে, ভাড়াটের দেহ টুকরো করে শহরের নানা প্রান্তে ছড়াল বাড়ির মালিক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ