Advertisement
Advertisement
Uttarpradesh

মারধরের জেরে গর্ভেই মৃত সন্তান, নিথর দেহ নিয়ে থানায় বাবা, অভিযোগ নিল না যোগীর পুলিশ

অবস্থা সামাল দিতে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিল উত্তরপ্রদেশ পুলিস।

Man reached Uttar Pradesh police station with dead body of newborn, Officers reject FIR | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:July 3, 2022 2:17 pm
  • Updated:July 3, 2022 4:10 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুষ্কৃতীদের মারে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন স্ত্রী। সদ্যোজাত কন্যার মৃত্যু হয়েছে চোখের সামনে। এমন অবস্থায় চোখের জল সামলে মেয়ের দেহ হাতে নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন শোকার্ত বাবা। বিচার চান তিনি। এমন পরিস্থিতিতেও অভিযোগ নিল না নির্দয় পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এমন ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে যোগীরাজ্যের পুলিশ। তবে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। অবিলম্বে তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আগ্রার (Agra) বাসিন্দা ধানিরাম নামে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, দু’ জন এসে তাঁর ছ’ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর করে। তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ধানিরামের স্ত্রী। তখনই তাঁকে হাসাপাতালে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রোপচার করা হয়। মৃত কন্যার জন্ম দেন তিনি। তারপরেই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে থানায় (Uttar Pradesh Police) যান ধানিরাম। কিন্তু সেখানে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে থানার আধিকারিকরা। বাধ্য হয়ে মেয়ের মৃতদেহ হাতে নিয়েই এসপির অফিসে ছুটে যান ধানিরাম। তাঁর সঙ্গী হয় স্থানীয় মানুষও। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রশাসনকে না জানিয়ে বিদেশ থেকে ভারতীয়দের পাঠানো যাবে লক্ষ লক্ষ টাকা, নয়া ঘোষণা কেন্দ্রের]

এমন অবস্থা দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন এসপি প্রভাকর চৌধুরী। ফতেহাবাদের ডেপুটি এসপিকে তিনি বলেন গোটা ঘটনার তদন্ত করে দ্রুত রিপোর্ট পেশ করতে হবে। গুড্ডু ও রামেশ্যাম নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করা হয়। এসপির তরফে ধানিরামকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। আপাতত স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ধানিরামের স্ত্রী।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত শনিবার সকালে। ধানিরাম জানিয়েছেন,”আমি কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। তারপরেই বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীকে মারধর করে দুই অভিযুক্ত। তারপরেই আমার স্ত্রীর শরীর খারাপ হতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় নার্সিং হোমে নিয়ে যাই। সেখান থেকে সরকারি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ডাক্তাররা সার্জারি করতে বাধ্য হন। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গিয়েছে।” 

[আরও পড়ুন: দেশে একদিনে করোনার কবলে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ, চিন্তা বাড়াচ্ছে পজিটিভিটি রেট]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ