Advertisement
Advertisement

বাস্তবের ‘হাম দিল দে চুকে সনম’, প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীর বিয়ে দিলেন স্বামী

স্বামী কীভাবে জানতে পারলেন স্ত্রীয়ের প্রেমিকের কথা?

Man replicates movie move, gets wife married to boyfriend
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 31, 2018 3:39 pm
  • Updated:May 31, 2018 3:39 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রিল লাইফ নয়। এ যেন রিয়েল লাইফ ‘হাম দিল দে চুকে সনম’। স্ত্রী ভালবাসতেন অন্য একজনকে। বিয়েতে তাঁর মত ছিল না। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে পড়ে, একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিয়ে করেন। বিয়ের পর আর তিনি স্বামীর ঘর করেননি। স্বাভাবিকভাবেই স্বামী জানতে চান কারণ। জানতে পারেন, স্ত্রী অন্য কাউকে ভালবাসেন। তাই তাঁর ঘর করতে চান না। এমন কথা শোনার পর স্বভাবতই মেজাজ সপ্তমে চড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তা হল না। উলটে স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী।

[ ফের উত্তপ্ত কাশ্মীর, সেনার গুলিতে উপত্যকায় নিকেশ ২ জঙ্গি ]

Advertisement

স্বামীর নাম সুজিত। ভালবেসে তাকে গোলু বলে ডাকে লোকে। তিনমাস হল শ্যামনগরের শান্তিকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। দিনটা ছিল ১৯ ফেব্রুয়ারি। বিয়ের কিছুদিন পরে কাউকে কিছু না বলে শান্তি স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে যান। নিজের বাবা মায়ের কাছে গিয়ে থাকতে শুরু করেন তিনি। প্রথমদিকে সুজিত বিষয়টিকে পাত্তা দেননি। কিন্তু দিন যত গড়ায়, সন্দেহ তত বাড়তে থাকে। বেশ কিছুদিন কেটে যাওয়ার পর সুজিত শ্বশুরবাড়ি যান। স্ত্রীকে বাড়ি ফিরে আসতে বলেন। কেন এমন করছেন, স্ত্রীর কাছে তা জানতেও চান। তখনই বেরিয়ে আসে আসল কথা।

Advertisement

শান্তি প্রথমটা প্রশ্ন এড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। জবাব দিতে চাননি। কিন্তু ধীরে ধীরে তিনিও সত্যিটা বলে ফেলেন। জানান, লখনউয়ের একটি ছেলেকে তিনি ভালবাসেন। বিয়ে করতে চেয়েছিলেন তাঁকেই। কিন্তু ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে তাঁকে সুজিতের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। প্রথমে স্বাভাবিক কারণে বেশ রেগেই যান সুজিত। কিন্তু মাথা ঠান্ডা হলে তিনি কথা দেন, প্রেমিকের সঙ্গে তিনি ঠিক শান্তির বিয়ে দেবেন। শান্তির প্রেমিক সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যও নিয়ে নেন তিনি। জানতে পারেন, শান্তির প্রেমিক রবি লখনউয়ের গোঁসাইগঞ্জের বাসিন্দা।

[ উপনির্বাচনে দিকে দিকে বিজেপিকে ধাক্কা, কৈরানায় জয়ী মহাজোট ]

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বিয়ের সমস্ত পরিকল্পনাটাই সুজিত, রবি ও আরও তিনজনের মস্তিস্কপ্রসূত। সমস্ত পরিকল্পনা হয়ে যাওয়ার পর সুজিত স্থানীয় থানাকে বিষয়টি জানান। বুধবার সানিগওয়ানের স্থানীয় হনুমান মন্দিরের কাছে চার হাত এক হয়। বিয়েতে শুধু পরিবারের লোকেরাই নিমন্ত্রিত ছিলেন। সুজিত জানান, প্রথমে তিনি আর পাঁচজনের মতোই নেতিবাচক চিন্তাভাবনা করছিলেন। কিন্তু পরে ভেবে দেখেন, এখানে তিনজনের জীবন জড়িয়ে রয়েছে। এরপর নিজের পরিবার ও পাড়ার শুভাকাঙ্খীদের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নেন।

সনিগওয়ানের মানুষ সুজিতের এই কাজকে বাহবা দিয়েছেন। এক পুলিশকর্মী জানিয়েছেন, সুজিত এক অসাধারণ পদক্ষেপ নিয়েছে। কেউ এই ঘটনা ভুলতে পারবে না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ