Advertisement
Advertisement

Breaking News

পাক আমন্ত্রণে না, কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধনে যাচ্ছেন না মনমোহন

বিজেপির হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিতে নারাজ কংগ্রেস।

Manmohan Singh unlikely to attend Pakistan's Kartarpur invite
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 1, 2019 9:25 am
  • Updated:October 1, 2019 9:25 am

সোমনাথ রায়. নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের আমন্ত্রণ খারিজ করে দিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। সোমবার বিকেলে সীমান্তের ওপার থেকে আসা ছোট্ট একটা ‘খবরে’ নড়েচড়ে বসল রাজধানী। নভেম্বরে গুরু নানকের ৫৫০তম আবির্ভাব দিবস। এই উপলক্ষেই পাঞ্জাবের গুরদাসপুর জেলার ডেরা বাবা নানক সাহিব ও পাকিস্তানের কর্তারপুর জেলায় গুরুদ্বার দরবার সাহিবকে সংযোগকারী কর্তারপুর করিডর খোলার দাবি জানিয়ে এসেছিলেন দুই দেশের শিখ সম্প্রদায়ের সদস্যরা। সেই দাবিকে মাথায় রেখে ভিসাহীন কর্তারপুর করিডরের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।

[আরও পড়ুন: বারান্দায় উদ্দাম যৌনতায় মেতে এ কী পরিণতি হল যুগলের!]

Advertisement

সোমবার পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশি বলেন, “পাকিস্তান ঠিক করেছে কর্তারপুর করিডর খুলে দেওয়া হবে। এই মহৎ উদ্যোগে অংশ নিতে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। শীঘ্রই সরকারি আমন্ত্রণবার্তা যাবে তাঁর কাছে।” এরপরই কংগ্রেস ও বিজেপি দুই শিবিরেই শুরু হয়ে যায় ফিসফাস। কী হতে চলেছে এই ইসু্যতে কংগ্রেস ও মনমোহন সিংয়ের সিদ্ধান্ত। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সরকারি আমন্ত্রণপত্র এসে পৌঁছয়নি। তাই তার কোনও উত্তরও দেননি মনমোহন বা কংগ্রেস নেতৃত্ব। তবে ২৪, আকবর রোডের খবর অনুযায়ী এই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করবেন মনমোহন। কারণ ইতিমধ্যেই কংগ্রেস স্পষ্ট করে দিয়েছে, পাকিস্তান বা যে কোনও আন্তর্জাতিক বিষয়ে সরকারের পাশেই দঁাড়াবে তারা। সামনেই মহারাষ্ট্র, হরিয়ানায় নির্বাচন। তাই কোনওভাবেই বিজেপির হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিতে নারাজ কংগ্রেস। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীনই কখনও পাকিস্তান যাননি মনমোহন। কাজেই এই মুহূর্তে সেখানে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই।

Advertisement

ভারত-পাক আন্তর্জাতিক সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় পাকিস্তানের অভ্যন্তরে পড়ে কর্তারপুর। প্রতি বছর ভারত-পাকিস্তান দু’দেশেরই হাজারো শিখ পুণ্যার্থী দরবার সাহিব কর্তারপুরে প্রার্থনা করতে যান। সেখানে গুরু নানক জীবনের শেষ ১৮ বছর কাটিয়েছিলেন বলে জনশ্রুতি আছে। আর সে কারণেই শিখ সম্প্রদায়ের কাছে জায়গাটি অত্যন্ত পবিত্র। সেই গুরুনানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকীকে সামনে রেখে শিখদের যাতায়াত সহজ করতে দু’দেশ সীমান্তে করিডর গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতের পাঞ্জাবের গুরদাসপুর জেলার ডেরা বাবা নানক থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পর্যন্ত রাস্তা তৈরি হচ্ছে। আর পাকিস্তানের অংশে করিডর হচ্ছে গুরুদুয়ার দরবার সাহিব কর্তারপুর থেকে। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগ হয়ে যাওয়ার পর থেকে ভারতীয়দের ওই উপাসনাস্থলে যাওয়ার উপায় সীমিত হয়ে যায়। ভিসা পেতেও তাঁদেরকে অনেক কষ্ট করতে হত। এখন নতুন রাস্তা নির্মাণ হয়ে গেলে সারা বছরই পুণ্যার্থীরা খুব সহজে কর্তারপুর যেতে পারবেন।

[আরও পড়ুন: মুসলিমদের কিডনি-লিভার কেড়ে নিচ্ছে চিন, রাষ্ট্রসংঘে অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ