Advertisement
Advertisement
aadhaar and ration card

রেশন কার্ড ও আধার সংযোগে গররাজি বহু রাজ্যই, কীভাবে মিলবে ‘আয়ুষ্মান ভারতের’ সুবিধা?

বেকায়দায় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প।

Many states don't want to link aadhaar and ration card | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:February 14, 2022 7:35 pm
  • Updated:February 14, 2022 7:37 pm

স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: ২০১৮ সালে আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্দেশ্য ছিল, দেশের অন্তত ৫০ শতাংশ দরিদ্র নাগরিককে বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা দেওয়া। তবে সেই কাজে প্রত্যাশামতো সাফল্য পায়নি কেন্দ্র। এখনও পর্যন্ত মাত্র ১০ কোটি ৭৪ লক্ষ ভারতীয় এই প্রকল্পে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন।

আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত যোজনার সঙ্গে যুক্ত করতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নাগরিকদের রেশন ও আধার কার্ডের তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। কিন্তু এর ফলে তথ্যের সুরক্ষা লঙ্ঘিত হতে পারে, এই আশঙ্কায় বেশিরভাগ রাজ্যই কেন্দ্রের নির্দেশিকা মানতে রাজি নয়। এই পরিস্থিতিতে বেকায়দায় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প।

Advertisement

[আরও পড়ুন: চলতি সপ্তাহেই খুলছে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুল, নয়া কোভিড নির্দেশিকায় জানাল নবান্ন]

পরিকল্পনামতো কেন্দ্রের প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত না হওয়ায় আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা দিতে আর্থ-সামাজিক ও জাতিগত জনগণনা (এসইসিসি)-কে হাতিয়ার করতে চাইছে জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা (এনএইচএ)। কিন্তু তাদের কাছে এই ধরনের কোনও তথ্যভাণ্ডার না থাকায় বিকল্প ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে গত ৫ জানুয়ারি এনএইচএ-র সিইও এস এস শর্মা খাদ্য ও গণবণ্টন দফতরের সচিব সুধাংশু পাণ্ডেকে একটি চিঠি লেখেন। যেখানে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের উল্লেখ করে বলা হয়, পর্যাপ্ত এসইসিসি তথ্য না থাকায় আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে যোগ্য ব্যক্তিদের সুরক্ষা দেওয়া যাচ্ছে না। রেশন কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযুক্তিকরণ করে সেই তথ্য এনএইচএ-কে পাঠানো হলে কাজে সুবিধা হবে।

Advertisement

এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে পরদিনই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি পাঠায় খাদ্য ও গণবণ্টন দপ্তর। উক্ত তথ্য পাঠাতে সাহায্যের আবেদন করা হয়। এই তথ্য কে বা কারা কীভাবে ব্যবহার করবে, সেই সম্পর্কে স্পষ্ট উত্তর না থাকায় রাজ্যগুলি তথ্য দিতে রাজি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন খাদ্য দপ্তরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। বিমার সুবিধার্থে তথ্য কোনও বেসরকারি বিমা সংস্থার কাছে চলে গেলে সাধারণ মানুষের তথ্যসুরক্ষা প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছে বহু রাজ্য। সব মিলিয়ে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বড় জট।

[আরও পড়ুন: ‘শিলিগুড়ি হোক দ্বিতীয় কলকাতা’, পুরনিগম জয়ের পরই গৌতম দেবকে বার্তা মমতার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ