Advertisement
Advertisement

Breaking News

প্রতিশ্রুতিই সার, যোগীর হস্তক্ষেপের দাবিতে অনশনে শহিদের পরিবার

তাঁদের দাবি একটাই। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গ্রামে এসে স্বচক্ষে দেখে যান, যে কোনও প্রতিশ্রুতিই পূরণ করা হয়নি।

Martyr's family sits on hunger strike, wants Yogi Adityanath in village
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 19, 2017 1:57 pm
  • Updated:May 19, 2017 1:57 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছর ১৬ অক্টোবর রাজৌরিতে পাক সেনা হামলায় শহিদ হয়েছিলেন ভারতীয় জওয়ান সুদেশ কুমার। সেই সময় শহিদ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিলেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু মুখের আশ্বাসই সার। বছর ঘুরে গেলেও শহিদের গ্রাম পানসুখা মিলাকের এতটুকু পরিবর্তন হয়নি। গ্রামবাসীরা যে তিমিরে ছিলেন, আজও সেখানেই রয়ে গিয়েছেন। আর তাতেই ছাড়িয়েছে সহ্যের সীমা। তাই প্রতিবাদ জানাতে শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করলেন শহিদ পরিবারের লোকজন ও উত্তরপ্রদেশের ওই ছোট্ট গ্রামটির বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁদের দাবি একটাই। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গ্রামে এসে স্বচক্ষে দেখে যান যে, কোনও প্রতিশ্রুতিই পূরণ করা হয়নি।

[তিন তালাকের প্রতিবাদ, হিন্দু ধর্ম গ্রহণের হুঁশিয়ারি মুসলিম মহিলার]

গত বছর যখন সীমান্তে পাক সেনাদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ হয়েছিলেন সুদেশ, তখন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অখিলেশ যাদব৷ সেই সময় শহিদ সুদেশের শেষকৃত্যে অখিলেশকে আসার অনুরোধ জানিয়েছিল তাঁর পরিবার। কিন্তু সমাজবাদী পার্টি কোনও নেতা না আসায় সেই সুযোগ নেন বিজেপি নেতারা। বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি সহ-সভাপতি শিবপ্রতাপ শুক্লা, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অশোক কাটারিয়া ও স্থানীয় সাংসদ সতপল সাইনি সেই সময় গ্রামে উপস্থিত হয়ে গ্রামের উন্নতি কল্পের আশ্বাস দিয়েছিলেন।

Advertisement

[‘নাম থেকে মহম্মদ হটাও’, পাক নাগরিকের কটাক্ষে কী জবাব কাইফের?]

রাজনৈতিক দলের রেষারেষিতে প্রতিশ্রুতি মিলেছিল ঠিকই। কিন্তু বছর ঘুরে গেলেও গ্রামে কোনও বদল আসেনি। আর সেই কারণেই এবার প্রতিবাদে নেমেছে শহিদের পরিবার।শহিদ সুদেশের ভাই মনোজ কুমার জানান, “বিজেপি নেতারা গ্রামে একটি পেট্রল পাম্প তৈরি করে দেবেন বলেছিলেন। সেই সঙ্গে গ্রামের রাস্তাঘাটের উন্নতি ও প্রাইমারি স্কুলের নাম সুদেশের নামে রাখার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। এসবের কোনওটিই হয়নি।” সুদেশের স্ত্রী কবিতা, মা সন্তোষ কুমারি, বাবা ব্রহ্মপাল সিং, ভাই অনিল কুমার বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীকে নিয়ে অনশনে বসেছেন। সুদেশের বাবা বলেন, “তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী (অখিলেশ যাদব) ইতাহে এক শহিদের বাড়ি গিয়েছিলেন। কারণ তিনিও যাদব ছিলেন। কিন্তু আমাদের এখানে আসেনি। শহিদের ক্ষেত্রে এই বৈষম্য আশা করা যায় না।”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ