Advertisement
Advertisement

Breaking News

China

দক্ষিণে ধাক্কা খেয়েছে ‘ড্রাগন’, এবার প্যাংগং হ্রদের উত্তরে ‘হামলার প্রস্তুতি’ লালফৌজের

সীমান্তে ক্রমেই বাড়ছে সংঘাতের সম্ভাবনা।

Massive troop deployment bu China on Pangong's north bank

প্রতীকী

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 9, 2020 5:07 pm
  • Updated:September 9, 2020 5:07 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণ পাড়ে প্রবল ধাক্কা খেয়েছে চিন। লালফৌজকে বেকুব বানিয়ে ওই এলাকার পাহাড় চুড়োগুলির দখল নিয়েছে ভারতীয় ফৌজ। ফলে সেদিকে আর এগোতে পারছে না হানাদার বাহিনী। তাই কৌশল পালটে এবার হ্রদটির উত্তর পাড়ে বিপুল সেনা সমাবেশ বাড়িয়ে হামলার ছক কষছে চিন। এমনটাই জানিয়েছেন এক শীর্ষ সরকারি আধিকারিক।

[আরও পড়ুন: সেনা পিছলেও ষড়যন্ত্র বন্ধ করেনি ড্রাগন, গোপনে গালওয়ান সীমান্তে রাস্তা বানাচ্ছে লালফৌজ]

জানা গিয়েছে, বিগত এক সপ্তাহ ধরে প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণ পাড়ে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ভারত ও চিনের ফৌজ। গত মার্চ মাস থেকেই প্যাংগং হ্রদের উত্তর পারে আগ্রাসন চালিয়ে আসছিল চিনা বাহিনী। কিন্তু পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়ে ওঠে আগস্ট ২৯ ও ৩০ তারিখে। একতরফাভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার অবস্থান বদলে ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করতে এগিয়ে আসে প্রায় ২০০ চিনা সৈনিকের একটি দল। তবে এবার প্রস্তুত ছিল ভারতীয় বাহিনী। আগ্রাসন প্রতিহত করে এতদিন পর্যন্ত ফাকা পড়ে থাকা প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে পাহাড়ি অঞ্চলগুলির দখল নিয়ে নেয় ভারতীয় সেনা। বেগতিক দেখে পিছিয়ে যায় লালফৌজ। ফলে ওই এলাকায় অবস্থান মজবুত হয়ে গিয়েছে ভারতীয় বাহিনীর। তাই সীমান্তে চাপ বাড়াতে এবার প্যাংগং হ্রদের উত্তর পাড়ের ফিঙ্গার এলাকাগুলিতে বিপুল ফৌজ মোতায়েন শুরু করেছে বেজিং। এহেন অবস্থায় সংঘাত এড়াতে সীমান্তে আজ বৈঠকে বসছেন দু’দেশের কমান্ডাররা।

Advertisement

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ‘Shanghai Cooperation Organization’ (SCO) সামিটে যোগ দিতে গতকালই রাশিয়া পৌঁছে গিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও, লাদাখ সীমান্তে সমস্যা মেটাতে মস্কোর পৌরহিত্যে চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন জয়শংকর। তার আগেই বুধবার ফের প্যাংগং হ্রদে সেনা সংখ্যা বাড়িয়ে আলোচনার টেবিলে বাড়তি চাপ তৈরি করতে চাইছে শি জিনপিংয়ের সরকার বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কিন্তু জনতার চাপে জাতীয়তাবাদী মোদি সরকারও এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে চাইবে না। নিকট ভবিষ্যতে সীমান্ত সমস্যার দ্রুত সমাধান এখনই সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন অনেকে।

Advertisement

উল্লেখ্য, ৪ হাজার ২৭০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত প্যাংগং সো রেঞ্জ চিন ও ভারতীয় বাহিনীর জন্য কৌশলগত কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১৩৫ কিলোমিটার ব্যাপ্ত এই হ্রদের সংলগ্ন এলাকায় আধিপত্য কায়েমের জন্য মরিয়া বেজিং। প্যাংগং হ্রদ ও তার আশপাশের পাহাড়ি খাঁজ মিলিয়ে প্রায় ৬০০ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকা রয়েছে। এই হ্রদের উত্তর তীরে রয়েছে কারাকোরাম পর্বতশ্রেণি। তাজাকিস্তান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, চিন ও ভারত জুড়ে বিস্তৃত কারাকোরাম রেঞ্জ শেষ হয়েছে প্যাংগং হ্রদের উত্তর সীমায়। দক্ষিণ ভাগে রয়েছে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা পাহাড় যা ধাপে ধাপে নেমে গেছে স্পানগুর লেকের দিকে। এই হ্রদ ও তার সংলগ্ন এলাকার দুই তৃতীয়াংশেই নিজেদের অধিকার ফলাবার চেষ্টা করে চিন। কারণ বিতর্কিত ভূখণ্ড আকসাই চিন তাদের দখলে চলে যাওয়ায় কারাকোরাম পাস চিনের বাহিনীর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে এই এলাকার ৪৫ কিলোমিটারে টহল দেয় ভারতীয় বাহিনী। ওই এলাকা থেকেও ভারতীয় সেনাকে সরিয়ে নিজেদের জমি দখলের চেষ্টা করছে চিন।

[আরও পড়ুন: আলোচনার মাঝেই ফের ভারতের জমি দখলের চেষ্টা চিনের, রুখল ভারতীয় সেনা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ