সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে বিতর্কিত এলাকা থেকে পিছু হঠেছে চিন। কিন্তু লালফৌজকে কতটা বিশ্বাস করা যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। উপরন্ত গালওয়ান নদী বরাবার ১৯টি শিবির তৈরি করেছিল পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) জওয়ানরা। তৈরি করেছে পিচের রাস্তাও। আর এই বিষয়গুলিকে অশনি সংকেত বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
গালওয়ান উপত্যকার (Galowan Valley) পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪-এর কাছে চিনা সেনার তাঁবু নিয়েই সংঘর্ষ হয়েছিল দু’দেশের সেনার। তার পরেও নির্মাণের কাজ থামায়নি চিনা সেনা। সেনা সূত্রের দাবি, কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এমন নদী বাঁকে চিনা শিবিরগুলি তৈরি হয়েছে। ভারতীয় সেনার দাবি, ওই বাঁকগুলি থেকে সরাসরি ভারতীয় সেনা শিবিরের উপর নজরদারি চালানো যায়। তাই আপাতত পিছু হঠলেও তাঁরা যে ফের ফিরে আসবে না, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা চলে না।
[আরও পড়ুন : মাঝ আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষ, আমেরিকার লেকে দুটি বিমানের খণ্ডাংশ, বেশ কয়েকজনের মৃত্যু]
সেনা সূত্রে খবর, কাজের সুবিধার জন্য অন্যত্র তৈরি করা তাঁবু গালওয়ান নদীর ধারে বসাচ্ছিল চিনা সেনা (PLA)। পাথর সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করেছে। এমনকী, পিচের রাস্তাও বানিয়েছে। নদীতে নেমে কাজ করার জন্য বিশেষ পোশাক ব্যবহার করেছে তাঁরা। যা দেখে একটা সময় মনে করা হয়েছিল, ওই এলাকায় স্থায়ীভাবে থাকার জন্য প্রস্তুতি সারছে লালফৌজ।
[আরও পড়ুন : যুদ্ধের দামামা! পাকিস্তানকে হামলাকারী চারটি ড্রোন দিচ্ছে বেজিং, মার্কিনি অস্ত্রে শান ভারতের]
কিন্তু ক্রমাগত আন্তর্জাতিক চাপ ও ভারতের চোখে চোখ রেখে লড়াই করার মানসিকতা, তাঁদের পিছু হঠতে বাধ্য করেছে। কয়েক কিলোমিটার পিছিয়ে গিয়েছে লালফৌজের জওয়ানরা। তবে ওয়াকিবহাল মহলের কথায়, চিনকে বিশ্বাস করা যায় না। তারা বারবার কথার খেলাপ করেছে। তাই চিনা ফৌজ (PLA) যে কখন ফিরে আসবে, তা বুঝে ওটা কঠিন। আর নদীর ধারে রাস্তার বানানোর পিছনে কোনও গূঢ় কারণ আছে বলেই মনে করছেন সেনাবাহিনীর একাংশ।