সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকার গঠনের পর একমাসও হয়নি। এরই মধ্যে নড়বড়ে মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার। দেশের দুই রাজ্যে কংগ্রেসকে ঘোরতর চাপে ফেলে দিলেন বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতী। বছর শেষে ‘বহেনজী’-র হুমকি, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে সমর্থন প্রত্যাহার করতে পারেন তিনি। এই দুই রাজ্যে কংগ্রেসকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত বসপা নেত্রীর দল পুনর্বিবেচনা করতে পারে, যদি ‘নিরীহ’ সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া কয়েক মাস পুরনো কিছু মামলা প্রত্যাহার না করা হয়। এই মামলাগুলি দায়ের করা হয়েছিল ২০১৮-র ২ এপ্রিল ভারত বন্ধের সময়। মায়াবতীর দাবি, এর পিছনে ছিল রাজনৈতিক চক্রান্ত। কারণ দেশের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেই কেবলমাত্র তা করা হয়েছিল।
এই তালিকায় শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, ছিল মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানও, যে দুটি রাজ্যে আগে বিজেপির শাসন থাকলেও বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। আর ঠিক এই প্রেক্ষিত থেকেই মায়াবতীর বক্তব্য, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারের উচিত অবিলম্বে ‘অভিযুক্ত’দের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া পুরনো মামলাগুলি প্রত্যাহার করা। কারণ যদি তা না হয়, তাহলে তাঁর দল কংগ্রেসকে সেখানে সরকার গড়তে বাইরে থেকে যে সমর্থন দিয়েছিল, তা প্রত্যাহার করে নিতে পারে।
সোমবার এক বিবৃতিতে বসপা নেত্রী জানিয়েছেন, “যদি মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের নবনিযুক্ত সরকার সক্রিয় না হয়, নিরীহদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার না করে, তাহলে কংগ্রেসকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করব আমরা। কংগ্রেসকে সতর্ক করাটা জরুরি। কারণ শুধু ঘোষণা করা যথেষ্ট নয়। সাধারণ মানুষ জেনে গিয়েছে যে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দেওয়ার ক্ষেত্রে কংগ্রেস এবং বিজেপি একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।”
[ঋণমকুবেও মেটেনি সমস্যা, পিঁয়াজের দাম শুনে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু কৃষকের]
যদিও, মায়াবতীর এই হুমকিতে খুব একটা চাপ দেখছে না কংগ্রেস। নেতাদের দাবি, দুই রাজ্যেই মায়াবতীর সমর্থন ছাড়াও কংগ্রেসের কাছে সরকার গড়ার উপযুক্ত সংখ্যক বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন ১২১ জন বিধায়ক। যার মধ্যে মায়াবতীর দলের বিধায়ক ২ জন। তাদের সমর্থন ছাড়াও ম্যাজিক ফিগার ১১৬-র উপরেই থাকবে কংগ্রেস। রাজস্থানেও একাধিক নির্দল এবং ছোট দল কংগ্রেসকে সমর্থন করেছে। সেক্ষেত্রেও সরকার বাঁচাতে কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু, দিনের পর দিন মায়াবতী যেভাবে চাপ বাড়াচ্ছেন তা চিন্তায় রাখবে কংগ্রেস নেতাদের। এভাবে চলতে থাকলে উনিশের আগে মহাজোটে আদৌ বহেনজী থাকবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হচ্ছে কং শিবিরে।