সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে ছাড়ের ক্ষেত্রে এবার বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার৷ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগে সবুজ সংকেত মিলল কেন্দ্রের তরফে৷ এছাড়াও অসামরিক বিমান, বিমানের সরঞ্জাম, কেবল নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে৷
গতবছরই বেশ কিছু বিভাগে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের ছাড়পত্র দিয়েছিল মোদি সরকার৷ তবে প্রতিরক্ষা থেকে ঔষধ শিল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিভাগ সরকার হাতে রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ এবার এফডিআই নিয়ম আরও লঘু করে বিশেষ ক্ষেত্রগুলিতেও ঢালাও বিদেশী বিনিয়োগের সুযোগ করে দিল ভারত৷ বরাবর খোলা অর্থনীতির পক্ষেই সওয়াল করে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ এদিন তাঁর নেতৃত্বেই এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷
গতবছর এফডিআই-এর নীতি লঘু করার পর এক রাজ্য নির্বাচনে বড় ধাক্কা খায় বিজেপি সরকার৷ সেই ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্ত বেশ চমকপ্রদ৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদে রঘুরাম রাজনের না থাকা কেন্দ্র সরকারের কাছে নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা৷ এর জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে টাকার দামও পড়তে শুরু করেছিল৷ এই পরিস্থিতিতে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের ধরে রাখতে বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতেই হত কেন্দ্র সরকারকে৷ সেই প্রেক্ষিতেই বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভারতের দরজা খুলে দেওয়া হল কেন্দ্রের তরফে৷ এছাড়া সিঙ্গল ব্র্যান্ড রিটেল ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রেও আগের নিয়ম লঘু করেছে সরকার৷ ফলত অ্যাপলের মতো আন্তর্জাতিক বহুজাতিক সংস্থাও এবার দেশে দোকান চালু করতে পারবে৷ এই সিদ্ধান্তে বহু আন্তর্জাতিক সংস্থাই যে ভারতে তাদের ব্যবসা বাড়াবে তা সহজেই অনুমান করা যায়৷
দেশে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতেও এই সিদ্ধান্ত আগামী বছরগুলিতে বড় ভূমিকা নেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ সেই সঙ্গে বিশ্ব-অর্থনীতিতেও উল্লেখযোগ্য অবস্থানে চলে আসবে ভারত৷
কোন কোন ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল-
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ
ঔষধের ক্ষেত্রে ৭৪ শতাংশ বিনিয়োগ
বিমান সরঞ্জামের ক্ষেত্রে ১০০শতাংশ বিনিয়োগ
অসামরিক বিমানেও ১০০ শতাংশ বিনিয়োগ
কেবল নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রেও ১০০ শতাংশ বিনিয়োগ