সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্ট অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছিল। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতেও পাশ হয়েছে তিন তালাক বিল। এবার তা নিয়েই ঘোর অনাস্থা প্রকাশ করলেন মৌলবিরা। তাঁদের দাবি, এই বিল আইনে পরিণত হওয়ার অর্থ ইসলামিক আইনেই মোদি সরকারের নাক গলানো।
[ বাতিল হতে পারে পেমেন্টস ব্যাঙ্কের লাইসেন্স, চিন্তায় Airtel ]
তাৎক্ষণিক তিন তালাককে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালাত। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর সুবিচার পেয়েছিল মুসলিম মহিলা সমাজ। তারপর এই প্রথা নিষিদ্ধ করতে বিল প্রণয়ন করা হয়। সম্প্রতি সংসদের উভয় কক্ষেই সেই বিল পেশ করা হয়েছে। একাধিক রাজ্য তাতে সমর্থনও জানিয়েছে। কিন্তু মৌলবিদের বক্তব্য, মুসলাম ধর্মগুরুদের সঙ্গে আলোচনা না করে এই বিল পেশ করার অর্থ, ইসলামিক আইনকেই ক্ষুণ্ণ করা। এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন আগ্রার মৌলবি মুফতি মহম্মদ মুদাসির খান কাদেরি। আগ্রার এক ইসলামিক ধর্ম সংগঠনের সম্পাদক তিনি। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের কাছে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি জানিয়েছেন, “মোদি সরকার আসলে শরিয়তে হস্তক্ষেপ করছে। যদি বিল আনতেই হয়, তাহলে আগে মুসলিম ধর্মগুরুদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল।” তাঁর মত, এই বিল যদি সরকার আইনে পরিণত করে তবে তা মুসলিম বিরোধী পদক্ষেপ হিসেবেই পরিগণিত হবে। কেননা মুসলিমদের স্বার্থে যে বিল তৈরি করা হয়েছে, সেখানে মুসলিম ধর্মগুরুদেরই ডাকা হয়নি। তাঁর দাবি, মোদি সরকার যে মুসলিমদের বিদ্বেষী এ ঘটনা তারই প্রমাণ দিচ্ছে।
[ গুজরাটে ভরাডুবি হবে দলের, অনুমান খোদ বিজেপি সাংসদেরই ]
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তিন তালাক বিল পাশ হওয়ার পর থেকেই নানা চাপানউতোর চলছে। ভারতীয় মুসলিম বিকাশ পরিষদের তরফে এই বিলকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তবে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিষয়টিকে মোদি সরকার যেন রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ব্যবহার না করে। তাঁদের দাবি, এখনও পর্যন্ত যা অগ্রগতি তাতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। মুসলিমদের জনজীবন উন্নত করার থেকেই হিন্দুদের সন্তুষ্ট করে ভোটব্যাঙ্ক নিশ্চিত করাই মূল উদ্দেশ্য বলে ধরা দিচ্ছে। অভিযোগ এমনটাই। এই অভিযোগেই সোচ্চার সমাজকর্মী আইনজীবী মহম্মদ আরিফ। তাঁর দাবি, ২০১৯ নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিন তালাক বিলকে একটি হাতিয়ার হিসেবে দেখছে বিজেপি। এই পদক্ষেপই যদি কংগ্রেস নিত তবে তা তোষণ বলে হইচই পড়ে যেত। বেশিরভাগ মহলই বিল নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। সকলেরই দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তড়িঘড়ি এই আইন তৈরি হতে চলেছে। মুসলিম জনজাতির মান উন্নয়নের থেকেও ‘পলিটিক্যাল স্টান্ট’ হিসেবেই এই পদক্ষেপকে দেখছে মুসলিম সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ।
[ আধার না থাকলে যৌনপল্লির দরজা বন্ধ, নয়া নিয়মের গেরোয় ‘খদ্দেররা’ ]