সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় যুবকদের ভবিষ্যৎ ভয়ঙ্কর সংকটে। প্রযুক্তির বাড়বাড়ন্ত ও রোবটের দুনিয়া আগামী দিনে ছিনিয়ে নিতে পারে তাদের রুটিরুজি। ফলে আগামী ৯ বছরের মধ্যে অন্তত ২০ কোটি ভারতীয় যুবকের চাকরি হারানোর বা চাকরি পাওয়ার আশঙ্কা ক্রমশ জোরাল হচ্ছে। এরকমই শঙ্কা প্রকাশ করলেন কর্পোরেট জগতের প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব টি ভি মোহনদাস পাই।
তাঁর এই আশঙ্কা অবশ্য অযৌক্তিক নয়। বিভিন্ন সংস্থায় ক্রমশ কর্মীদের জায়গা নিচ্ছে রোবট। হাতে যে কাজ করা হত, তা করে দিচ্ছে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র। ফলত ব্যাপক হারে কমছে মানুষ কর্মীর চাহিদা। সেই সঙ্গে আছে প্রযুক্তির উন্নতি। মানুষের বিভিন্ন কাজে প্রযুক্তি এতটাই সহায়ক হয়ে উঠছে যে, একাধিক ব্যক্তির কাজ হয়ে যাচ্ছে এক ক্লিকেই। যত দিন যাচ্ছে এই স্বয়ংক্রিয়তার প্রবণতা বাড়ছে বই কমছে না। ব্যাঙ্কিং সেক্টরের মতো জায়গাতেও ঢুকে পড়েছে রোবট। মানুষের হাতে ঘটা প্রযুক্তির উন্নতিই বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে মানুষের কাছে। একে তো যন্ত্র একাধিক লোকের কাজ করে দিচ্ছে। সেইসঙ্গে যন্ত্রের কোনও চাহিদা নেই। অর্থাৎ একজন কর্মীর ক্ষেত্রে সংস্থাকে যে দায়ভারগুলি পালন করতে হয়, সে হ্যাপা নেই রোবটের ক্ষেত্রে। ফলে খরচ ও ঝামেলা এড়াতে যন্ত্রসভ্যতার দিকেই ঝুঁকছে সংস্থার কর্তৃপক্ষরা। বলা ভাল, পুঁজি তার নিজস্ব উদ্যোগেই এই পরিসর তৈরি করে নিচ্ছে। আর এতেই একরম অন্ধকার হতে চলেছে ভারতীয় যুবকদের ভবিষ্যৎ। মোহনদাসের মতে, ২০২৫-এর মধ্যে অন্তত ২০ কোটি ভারতীয় যুবকের চাকরি পাওয়ার সংখ্যা কমবে। বা তাঁদের কোনও চাকরি থা কবে না। ২১-৪১ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রেই এই খাঁড়া নেমে আসবে।
যন্ত্রের এই বাড়াবাড়ি অবশ্য বিশেষ ধরনের চাকরির ক্ষেত্রে যেগুলিকে বলা হয় ‘রুল বেসড জব’। যা অ্যালগোরিদমে কার সম্ভব সেগুলিতে মানুষের গুরুত্ব ক্রমশ কমবে। একমাত্র যে জায়গাটা মানুষের জন্য পড়ে আছে, তা হল সৃষ্টিশীলতা। যেহেতু যন্ত্র উৎপাদনশীল কিন্তু সৃজনশীল নয়, তাই একটি দিক পড়ে আছে যেখানে মানুষ অদ্বিতীয়। পাশপাশি কৃষির সঙ্গে যুক্ত মানুষের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমছে। মোহনদাসের আশঙ্কা, এখনই যদি এদিকে দৃষ্টি না দেওয়া হয় তবে ভবিষ্যতে বড় সংকটে পড়তে পারে দেশের তরুণ প্রজন্ম।