সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্কঃ বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকে ভাল-খারাপ যা শেখানো হয় তা চিরকালের মতো তাদের মনে গেঁথে যায়। একথা সকলেই প্রায় জানেন। সেজন্যই বলা হয়, বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নিজের ছেলে অথবা মেয়েকে কম বয়স থেকে আত্মরক্ষার কৌশলটি শিখিয়ে রাখুন। সেটা কেবল শারীরিক শিক্ষাই হতে হবে তার কোনও মানে নেই, শেখাতে হবে মগজাস্ত্রের ব্যবহার। অনেকেই শোনেন সে কথা, কিছু বাবা-মা আবার গ্রাহ্য করেন না। যাঁরা মেনে চলেন, সুফলও পান তাঁরা। ঠিক যেমন পেয়েছেন গাজিয়াবাদের এই পরিবারটি। ছোট থেকে মেয়েকে আত্মরক্ষার কৌশল শিখিয়ে দিয়েছিলেন বাবা-মা। ফলে উপস্থিত বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে অপহরণ হওয়া থেকে বেঁচে ফিরতে পারল বছর বারোর কিশোরী।
[রপ্তানি ক্ষেত্রে আয় বাড়ল ৫.১৭ শতাংশ, স্বস্তিতে কেন্দ্র]
সতেরো ও বারো বছরের দুই মেয়ে, সাত বছরের এক ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গাজিয়াবাদের ইন্দিরাপুরমের প্রসবনাথ ম্যাজিস্টিক ফ্লোরস নামের সোসাইটিতে থাকতেন পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এক ব্যক্তি। গত রবিবার বাড়ির উলটো দিকের দোকান থেকে চিপস কিনতে গিয়েছিল তাঁদের ছোট মেয়ে। সেখানে গিয়ে এক অদ্ভুত পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় ওই কিশোরীকে। বাড়ি ফিরে বাবা-মাকে সে জানায়, দোকান থেকে ফেরার পথে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তার কাছে আসে এবং বলে গুরুতর সমস্যায় পড়েছে তার বাবা। প্রথমে ঘাবড়ে গেলেও ঠিক তারপরই উপস্থিত বুদ্ধিকে কাজে লাগায় মেয়েটি। লোকটিকে সে পালটা প্রশ্ন করে, কোডওয়ার্ড কী? লোকটি বলতে না পারায়, মেয়েটি চিৎকার করে আশপাশ থেকে লোক ডাকতে শুরু করে। হাওয়া ভাল নয় বুঝে তখনই সেখান থেকে চম্পট দেয় লোকটা। অপহরণের হাত থেকে বেঁচে যায় ছোট মেয়েটি।
[কর্ণাটকের ‘রিসর্ট পলিটিকস’ নিয়ে টুইটারে রসিকতার ঝড়]
পরে মেয়েটির মা জানান, অল্পবয়স থেকেই তাঁদের ছেলে-মেয়েদের আত্মরক্ষার পাঠ পড়াতেন তিনি। কেবল শারীরিক নয়, অনেক সময় বুদ্ধি বলেও যে কোনও পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা যায়, তা ছেলে-মেয়েদের শিখিয়েছেন ওই মহিলা। ফলে নিজেদের মধ্যে বিশেষ কিছু কোডওয়ার্ডের মাধ্যমে কথাবার্তা বলা শুরু করেন তাঁরা। এরফলে একদিকে যেমন তাঁদের নিজেদের মধ্যে কথা বলতে সুবিধা হতে থাকে। তেমনই এমন বিপদজ্জনক পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়াও সহজসাধ্য হয়ে যায়। স্ত্রীর এই শিক্ষাকে বাহবা দিচ্ছেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার স্বামীও।