BREAKING NEWS

৮ চৈত্র  ১৪২৯  বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

উরির কায়দায় ফের জঙ্গি হামলা হতে পারে, আশঙ্কা সেনাপ্রধানের

Published by: Sangbad Pratidin Digital |    Posted: October 25, 2017 1:33 pm|    Updated: October 25, 2017 1:33 pm

More Uri like attacks may follow, warns Army chief

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের সেনাঘাঁটিগুলির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। তাঁর আশঙ্কা, আগামী দিনে ফের উরির কায়দায় সেনাঘাঁটিতে হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেনাঘাঁটিগুলির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তিনি। সেখানকার সেনাঘাঁটিগুলিতে জঙ্গিরা উরির কায়দার হামলা চালাতে পারে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।

[আলোচনার প্রক্রিয়া ভেস্তে দিতে হুরিয়তের ‘চাল’, পাকিস্তানকে ডাকার দাবি]

২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর। সীমান্ত পেরিয়ে কাশ্মীরের উরিতে সেনাবাহিনীর হেড কোয়াটার্সের আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল চার জঙ্গি। সেনাঘাঁটিতে পরপর বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। বিস্ফোরণের শহিদ হন দু’জন জওয়ান। আহত হন বেশ কয়েকজন। প্রাথমিক বিহ্বলতা কাটিয়ে পালটা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় চারজন জঙ্গিরই। এই ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে পৌঁছেছিল। উরির হামলার পর, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক তালিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে বেশ কয়েকটি জঙ্গি শিবির গুড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। কিন্তু, ভবিষ্যতেও ফের একই কায়দায় ভারতীয় সেনাঘাঁটিতে হামলা চালাতে পারে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এমনই আশঙ্কার কথা শোনালেন খোদ সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। তিনি বলেন, দেশের প্রত্যন্ত এলাকার সেনাঘাঁটিগুলিতে জঙ্গি হামলা হতে পারে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। সেনাঘাঁটিগুলিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য পশ্চিম ও উত্তর সীমান্তের গোয়েন্দাদের নেটওয়ার্ক ও নজরদারি আরও জোরদার করা প্রয়োজন। সেনাপ্রধানের মতে, শুধু সীমান্তে নয়, প্রত্যন্ত এলাকায়ও ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের মাধ্যমে নজরদারি চালাতে হবে।

[ভেঙে ফেলা হোক হুমায়ুনের স্মৃতিসৌধ, দাবি মুসলিম সংগঠনের]

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছিলেন, ভারতীয় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, কাশ্মীরের নিজেদের নেটওয়ার্ক আরও মজবুত করার চেষ্টা চালাচ্ছে আইএসআই। উপত্যকায় ভারতীয় সেনা ছাউনি, এমনকী, সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালাতে প্রচুর জঙ্গি নিয়োগ করেছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দাদের দাবি, ইতিমধ্যেই একশোরও বেশি জঙ্গি হয় কাশ্মীরে ঢুকে পড়েছে অথবা অনুপ্রবেশের জন্য পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন লঞ্চ প্যাডে অপেক্ষা করছে। এরপরই নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবার ভারতীয় সেনা ছাউনিগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কাশ্মীরের অন্যত্রও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

[আত্মহত্যার বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে গিয়ে জীবনের যুদ্ধে ‘হার’ বাইকার সানার]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে