সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন সেই ক্রীতদাস প্রথা। সেই মধ্যযুগীয় বর্বরতা। শুধু নাম পালটে ক্রীতদাসদের নাম হয়েছে বাঁধা শ্রমিক বা বন্ডেড লেবার। সেই কাজে নারাজ হওয়াতেই নাক কাটা হল এক মহিলার। একই পরিণতি হয়েছে তাঁর স্বামীরও।
[ বউমাকে বাঁচাতে ছেলেকেই খুন, নজিরবিহীন ঘটনায় তোলপাড় দেশ ]
ঘটনা মধ্যপ্রদেশের। জানা যাচ্ছে, আক্রান্ত মহিলার নাম জানকী ধনক। তিনি ও তাঁর স্বামীকে বাঁধা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। ঠিকা শ্রমিকের থেকে এই শ্রমিকদের কাজের ধরন অনেকটাই আলাদা। পারিশ্রমিক দেওযা হয় ঠিকই, কিন্তু এক্ষেত্রে কাজ অনেকটা সেই ক্রীতদাসদের মতোই। এই মহিলা ও তাঁর স্বামীকে মাঠে ও বাড়ির কাজ করতে জোর করা হত তাঁদের। মাত্রাতিরিক্ত কাজ করতে নারাজ হওয়াতেই ঘটে বিপত্তি। নরেন্দ্র রাজপুত ও সাহাব সিং নামে দুই ব্যক্তি তাঁর নাক কেটে দেন। একই হাল হয় তাঁর স্বামীরও। মহিলা স্বামীকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার সময়ও তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। এমনকী তাঁর স্বামীকে মারধরও করা হয় বলে জানান ওই মহিলা। এদিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আপাতত বুন্দেলখণ্ড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি আছেন তিনি।
[ ‘নেহরু নয়, নেতাজিই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী’ ]
মধ্যযুগীয় বর্বরতায় মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলায় হইহই পড়ে গিয়েছে। স্বাধীনতার সত্তর বছর পেরিয়েও একজন মহিলাকে এরকম হেনস্তার শিকার কী করে হতে হয়, সে প্রশ্ন উঠেছে। পুরো বিষয়ের তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সরব হয়েছে মহিলা কমিশনও। কমিশনের সদস্য জানিয়েছেন, ওই মহিলাকে জোর করে বাঁধা শ্রমিকের কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল। তাতে আপত্তি জানাতেই এরকম বর্বরতার শিকার হতে হয়। ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে মহিলা কমিশন।
[ দেশকে কেন ‘হিন্দুস্থান’ বললেন প্রধানমন্ত্রী? অভিযোগ দায়ের আইনজীবীর ]