সংবাদ প্রতিদিন ডিজিডাল ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরেই অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির (Ram Temple) তৈরির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এবার এই মন্দির তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে সোনার ইট তুলে দিতে চান বলে জানালেন শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের বংশধর প্রিন্স ইয়াকুব হাবিবুদ্দিন তুসি (Yakub Habeebuddin Tucy)।
সর্বভারতীয় একটি সংবাদসংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতে বসবাসকারী আমার হিন্দু ভাইদের আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আর মন্দিরের জন্য আমি যে এক কেজি সোনার ইট দেব বলেছিলাম তা রেডি রয়েছে। এই ইটটি প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতে তুলে দেওয়ার জন্য তাঁর সঙ্গে দেখার করার সময় চেয়েছি।’
[আরও পড়ুন: বিশ্বে সবথেকে দ্রুত করোনা সংক্রমণ ভারতেই, রিপোর্ট ঘিরে বাড়ছে উদ্বেগ ]
দুদিন আগে রাম মন্দির ট্রাস্টের এক সদস্য জানিয়েছিলেন, পবিত্র এই মন্দির তৈরির জন্য সব সম্প্রদায়ের মানুষের থেকেই অনুদান নেওয়া হবে। যাঁদের ভগবান রামের উপর আস্থা রয়েছে তাঁদের কাছ থেকে অনুদান নিতে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টে হাবিবুদ্দিন তুসি বলেছিলেন, ‘ওই জমির কোনও নথি আমার কাছে নেই। তবে মুঘলের বংশধর হিসেবে ওই জমিতে আমার অধিকারই সব থেকে বেশি। বাবরের বংশধর হিসাবে অযোধ্যার বিতর্কিত জমি আমার হাতেই তুলে দেওয়া উচিত সুপ্রিম কোর্টের। আমার হাতে এলে পুরো জমিটাই আমি রাম মন্দির তৈরির জন্য হিন্দুদের হাতে তুলে দেব। রাম নিয়ে এই দেশের আবেগ আমি বুঝি। তাই বিতর্কিত ওই জমিতে রাম মন্দিরই তৈরি হওয়া উচিত। ১৫২৯ সালে মন্দির ভেঙেই সেখানে মসজিদ বানানো হয়েছিল। ‘
রাম মন্দির ধ্বংস করে অযোধ্যার ওই জমিতে বাবরি মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল বলেও মনে করেন রামভক্তরা। তাঁদের এই বিশ্বাসকে মান্যতা দিয়ে ওই ঘটনার জন্য পুরো পরিবারের পক্ষ থেকে ক্ষমাও প্রার্থনা করেন হাবিবুদ্দিন তুসি। এর জন্য প্রতীক হিসেবে নিজের মাথায় রামলালার ‘চরণ-পাদুকা’ও ধারণ করেন।