সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে লাগাতার বনধ, বিক্ষোভ ও হিংসার জেরে ৩০০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বনধের মধ্যেই গতকাল বেশ কয়েকটি শহরে হিংসাত্মক হয়ে ওঠে বিক্ষোভকারীরা। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বনধ তুলে নেওয়ায় ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। জাতিবিদ্বেষ সংক্রান্ত সংঘর্ষের জন্য মহারাষ্ট্র সরকারকে দায়ী করেছে দলিত নেতৃত্ব। এই ঘটনার বিরোধিতা করেই বনধের ডাক দেয় দলিতরা। সংঘর্ষের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের কাছে ১৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে। ভীমা কোরেগাঁও যুদ্ধের ২০০ বছর পূর্তিকে নিজেদের বিজয়দিবস হিসেবে পালন করছে দলিতরা। এই অনুষ্ঠানেই দলিত ও হিন্দুত্ববাদী শাখা সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত।
বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্যই ছিল সমগ্র মুম্বইকে অচল করে দেওয়া। তাই পরিকল্পনামাফিক রেলও রাস্তা দুই জায়গাতেই অবরোধ শুরু করে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। স্বাভাবিকভাবেই থমকে যায় দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীর জনজীবন। বনধের সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে মুম্বইয়ের গোরেগাঁও ও শহরতলি, থানে এলাকায়। রাজ্যের অন্যান্য শহর থেকে একের পর এক অগ্নিসংযোগ ও হিংসার খবর এসেছে। চেম্বুর, ঘাটকোপার, কামরাজ নগর, ভিখরোলি, দিনদোশি, কান্দিভলি, যোগেশ্বরী, কালানগর, মাহিম এলাকায় প্রথমেই পথে নামে বিক্ষোভকারীরা। প্রায় শখানেক বিক্ষোভকারী জাতীয় সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। ঘাটকোপার রেলস্টেশনে অবরোধ করে শহরতলির লোকাল ট্রেন পরিষেবাকেও স্তব্ধ করে দেয়। বিক্ষোভকারীদের রোষের মুখে পড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যাত্রা পরিবহণ পরিষেবার ৩০টি বাস।
নাগপুর, পুণে, বারামতি এলাকা থেকে বিক্ষোভের খবর এসেছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে অগ্নিসংযোগের খবর এসেছে। ঔরঙ্গাবাদ থেকে হিংসার খবর এসেছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক। থানে এলাকায় বড়মাপের জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.