সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রথমবার মুম্বইতে গেলে ধারাবি বস্তি একবার যেমন সকলের ঘুরে দেখা উচিত, তেমনই অবশ্যই একবার হলেও দর্শন করা প্রয়োজন মহালক্ষ্মী ধোবিঘাটের। ঐতিহাসিক গুরুত্বের দিক থেকে দু’টি স্থানই প্রায় ১৫০ বছরের প্রাচীন। ইংরেজ আমলে তৈরি হলেও এখনও দু’টিই স্থানেই আনাগোনা রয়েছে হাজার হাজার মানুষের। প্রথমটির সঙ্গে বাসস্থানের সূত্রে, আর দ্বিতীয়টির সঙ্গে রুজিরুটির সূত্রে। তবে, এবার বদলে যেতে চলেছে সেই ১৫০ বছরের পুরানো মহালক্ষ্মী ধোবিঘাট। জরাজীর্ণ রূপ ঝেড়ে আগামী তিন বছরের মধ্যেই নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করবে এটি।
[নির্যাতিতার বয়ান বদল, ধর্ষণের মামলায় ক্ষতিপূরণ ফেরানোর নির্দেশ আদালতের]
২.৫ একর জমির উপরে তাদের নিজেদের প্রাত্যহিক জামাকাপড় কাচার এই ধোবিঘাট নির্মাণ করেছিলেন ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সাহেবরা। ৭৩১টি ছোট ছোট ছাদখোলা কুঠুরি দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল এই ধোবিঘাট। দেশ স্বাধীন হয়েছে, ইংরেজরাও চলে গিয়েছে। কিন্তু একসময়ের ইংরেজ জুলুমের নিদর্শন বর্তমানে হয়ে গিয়েছে ২১০০টি পরিবারের পেট চালানোর সংস্থান। তবে রোজগারের পাশাপাশি এই ধোবিঘাটে বেড়ে উঠছিল অবৈধ বাসস্থান, হয়ে উঠছিল জতুগৃহ। সম্প্রতি ধোবিঘাটের অবৈধ সমস্ত নির্মাণ ভেঙে ফেলা হয়েছে মুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে। কর্পোরেশনের সহ-কমিশনার জানিয়েছেন, বংশ পরম্পরায় মহালক্ষ্মী ধোবিঘাটে কাজ করছেন অনেকে। তাই সকলের কথা মাথায় রেখে সমস্ত অবৈধ নির্মাণ ভেঙে পুনরায় তৈরি করে দেওয়া হবে ৭৩১টি জামাকাপড় কাচার কুঠুরি ও ২০০০টি জলের ট্যাঙ্ক।
[সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়, তবু কেন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন কেজরিওয়াল?]
জানা গিয়েছে, এই ধোবিঘাট পুনর্নির্মাণের জন্য ওঙ্কার রিয়েলটর ও পিরামল রিয়্যালিটি নামে দু’টি সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ শুরু করেছে স্লাম রিহ্যাবিলিটেশন অথরিটি। শতাব্দী প্রাচীণ ধোবিঘাটের শ্রী ফেরাতে ইতিমধ্যেই বরাদ্দ করা হয়েছে চার হাজার কোটি টাকা। প্রতিটি পরিবারকে নতুন ভাবে জামাকাপড় কাচার জায়গা দেওয়ার পাশাপাশি, ভাবনা রয়েছে ওয়াশিং মেশিন ও জামাকাপড় শুকানোর উন্নত ব্যবস্থা প্রদান করার।২০২১-এর মধ্যেই এই সমস্ত কিছু শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এমনই জানিয়েছেন এক পুর আধিকারিক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.