সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষোভের আগুন ধিকি ধিকি করে জ্বলছিল। এবার একেবারে বিস্ফোরণ। বেনজিরভাবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন চার সিনিয়র বিচারপতি। একাধিক যুক্তি তুলে তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন যা চলছে তাতে গণতন্ত্র বিপন্ন হচ্ছে। বিচারব্যবস্থার প্রতি ক্রমশ আস্থা হারাবেন দেশবাসী। প্রধান বিচারপতিকে ইমপিচ করা উচিত কি না তার ভার বিচারপতিরা দেশের মানুষের উপর ছেড়ে দিয়েছেন।
[ধর্ষণ করে মহিলারাও, তাদের সাজা নয় কেন? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টে]
এই প্রথম দেশের বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের সামনে এভাবে মুখ খুললেন কোনও বিচারপতি। ঘূণের মতো কীভাবে রোগ ছড়াচ্ছে তাও প্রকাশ্যে আনলেন। শীর্ষ আদালতের চার বিচারপতি হলেন জে চেলামেশ্বর, কুরিয়ানা জোসেফ, রঞ্জন গগৈ এবং মদন লোকুর। জে চেলামেশ্বরের বাড়িতে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক হয়। সেখানে দেশের বিচারব্যবস্থায় দুর্নীতি এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তাঁরা সরব হন। বিচারপতি চেলামেশ্বর বলেন, বিচারব্যবস্থা নিরপেক্ষ না হলে গণতন্ত্র বাঁচবে না। এই কারণে আজ দেশের গণতন্ত্রের অস্তিত্ব বিপন্ন। বিচারের নামে চলছে বিনয়ম। মামলা বণ্টনের ক্ষেত্রে পক্ষপাত হচ্ছে। আদালতের প্রশাসন ঠিকমতো চলছে না। গত কয়েক মাস ধরে এমন অবাঞ্ছিত ঘটনা চলছে। চার বিচারপতি একবাক্যে জানান, এই নিয়ে বারবার বলার পরও কোনও কিছু কানে আনেন না প্রধান বিচারপতি। কীভাবে দেশের শীর্ষ আদালতে পক্ষপাত চলছে তাও প্রকাশ্যে আনেন তাঁরা। বিচারপতি চেলামেশ্বরের সংযোজন, পছন্দের বিচারপতিদের গুরুত্বপূর্ণ মামলা দেওয়া হচ্ছে। তাই সুপ্রিম কোর্টকে রক্ষা করা জরুরি। এই উদ্বেগের কথা জানাতে তাদের এই সাংবাদিক বৈঠক বলে জানান চার বিচারপতি। পাশাপাশি তাঁরা জানতে চান প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রকে কি ইমপিচ করা উচিত। এই নিয়ে সিদ্ধান্তের ভার তাঁরা দেশের মানুষের উপর ছেড়ে দিয়েছেন। বিচারব্যবস্থা নিয়ে অসন্তোষ ও পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর রবিশংকর প্রসাদকে চিঠিও দিয়েছেন চার বিচারপতি।
[নৌবাহিনীকে ‘অপমান’ করেছেন নিতীন গড়করি, অভিযোগ কংগ্রেসের]
তাঁদের এই নজিরবিহীন সাংবাদিক বৈঠকের পর দেশের বিচারব্যবস্থায় আলোড়ন পড়ে যায়। তড়িঘড়ি অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক করেন দেশের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র। গোটা বিষয় নিয়ে আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধাvমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.