সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গো-মাংস গুজবে গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। গো-রক্ষকদের তাণ্ডবে প্রাণ যাচ্ছে নিরীহ মানুষের। নিজের চোখে গো-রক্ষকদের সেই তাণ্ডব দেখেছেন তিনি। গো-রক্ষকদের গণপিটুনিতে হারাতে হয়েছে বাবাকে। কিন্তু এত কিছুর পরও এদেশেই থাকতে চান রাজস্থানে আলোয়ারে নিহত দুধ ব্যবসায়ী পেহলু খানের ইরশাদ খান। তিনি বলেন, ‘আমরা মুসলিমরা কখনই পাকিস্তানে গিয়ে থাকব না। ভারতই আমাদের মাতৃভুমি।’
[মোদির হুঁশিয়ারিই সার, ফের গো-রক্ষার নামে গণপিটুনি নিরীহদের]
গত এপ্রিল মাসের ঘটনা। রাজস্থান থেকে গরু কিনে ট্রাকে চাপিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন পেশায় দুধ ব্যবসায়ী বছর পঞ্চান্নের পেহলু খান। রাজস্থানের আলোয়ারে তাঁর ওপর চড়াও হয় গো-রক্ষকরা। বেল্ট, লাঠি, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় পেহলু খানকে। দুদিন পর মারা যান তিনি। ঘটনার সময়ে তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই ছেলে ইরশাদ ও আরিফ।
[এবার গো-মাংস চিনিয়ে দেবে এই যন্ত্র]
শনিবার দিল্লিতে কৃষি সংকট, গো-রাজনীতি ও পিটিয়ে খুন সংক্রান্ত একটি আলোচনাসভা যোগ দেন বছর চব্বিশের ইরশাদ। তিনি বলেন, ‘ধর্মের নামে বিভেদ তৈরির চেষ্টা চলছে। একটি বিশেষ গোষ্ঠী মুসলিমদের পাকিস্তান চলে যেতে বলছে। কিন্ত আমরা মুসলিমরা কখনই পাকিস্তানে গিয়ে থাকব না। ভারতই আমাদের মাতৃভূমি।‘ তাঁর অভিযোগ, সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই ভারতে গো-মাংস গুজবে গণপিটুনির ঘটনা বাড়ছে। ইরশাদ বলেন, কিছু লোক চায় না, দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য বজায় থাকুক, আর সেটা হলেই, তাদের ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির স্বার্থ চরিতার্থ হবে। মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য গণপিটুনির ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।
[একরত্তি শিশুর রক্তকান্নায় চক্ষু চড়কগাছ ডাক্তারদের]
অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন নিহত পেহলু খানের কাকা হুসেন খানও। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তদের জামিন দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। ন্যায় বিচার না পেলে রাজস্থানে আদালতে গিয়ে আত্মহত্যা করব।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.