Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangladesh

আরও মুজবুত দিল্লি-ঢাকা সম্পর্ক, রেলপথে জুড়তে চলেছে বাংলাদেশ ও ত্রিপুরা

আগামী বছরই চালু হবে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ।

New rail route from Bangladesh to Tripura to open soon in Bengali News | Sangbad Pratidin

প্রতীকী

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 16, 2020 3:50 pm
  • Updated:September 16, 2020 3:50 pm

প্রণব সরকার, আগরতলা: চালু হচ্ছে বাংলাদেশ ও আগরতলার মধ্যে রেল যোগাযোগ। আগামী বছরই চালু হবে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথটি। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এই রেলপথটি। বিশেষ করে ব্যবসা বাণিজ্য এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতের মূল ভূখণ্ডে সহজে যাওয়া যাবে এই রেলপথের মাধ্যমে। ২০২১ সালের মার্চ মাসের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

[আরও পড়ুন: আডবানী-যোশীদের ভাগ্য নির্ধারণ, ৩০ সেপ্টেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায়দান]

তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে ভারত এবং বাংলাদেশের (Bangladesh) রেল ব্যবস্থা একই ধরনের ছিল। মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানকে হত্যা করার পর রেলব্যবস্থা ধ্বংসের পথে চলে যায়। নতুন করে রেললাইন হয়নি, ইঞ্জিন, কোচ, নতুন ট্রেন কোনও কিছুই হয়নি। ৭৩-৭৪ সালে রেলওয়েতে লোকবল ছিল ৬৮ হাজার। এখন তা ২৫ হাজারে নেমে এসেছে। এখন লোকবলের অভাবে ১০৪টি ষ্টেশন বন্ধ রয়েছে। রেলকে আস্তে আস্তে বেসরকারিকরণ করার প্রক্রিয়া নিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে আলাদা রেলপথ মন্ত্রক গঠন করে রেল ব্যবস্থাকে আধুনিক যুগোপযুগি যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তুলেছেন।

Advertisement

জানা গিয়েছে, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের দৈর্ঘ্য ১০ কিলোমিটার। এরমধ্যে ৬ কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশ অংশে। আর বাকি ৪ কিলোমিটার রেলপথ ভারতের অংশে। রেলপথটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপূর সীমান্ত পর্যন্ত যাবে। ভারত সরকারের অনুদানের অর্থে নির্মিত হচ্ছে এই রেলপথ। ২০১৮ সালের ২১ মে নয়াদিল্লির প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয় ২৪০ কোটি ৯০ লক্ষ ৬৩ হাজার ৫০১ টাকা। জমি অধিগ্রহণ-সহ সকল জটিলতা কাটিয়ে ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই ১৮ মাস মেয়াদী এই প্রকল্পের কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রথম দফায় চলতি বছরের ১৩ মে পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়। বর্ষারর জন্য কাজ করতে না পারায় সময় বৃদ্ধির আবেদন করা হয়। তবে প্রথম দফায় বৃদ্ধিকৃত সময়ের মধ্যে করোনা ভাইরাস হানা দেওয়ায় কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত মার্চ মাসের শেষভাগ থেকে প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় বন্ধের পর গত ১ জুন থেকে পুনরায় কাজ শুরু হয়। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে এখনও সব শ্রমিক কাজে আসেনি। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে দ্বিতীয় দফায় ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাজস্থানের চম্বল নদীতে নৌকাডুবি, শিশু ও মহিলা-সহ কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ