সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওড়িশায় রায়গড়ায় কয়েক দিনের ব্যবধানে রহস্যমৃত্যু হয়ছে দুই রুশ নাগরিকের। ভারতে ঘুরতে এসে রায়গড়ার হোটেলে উঠেছিলেন তাঁরা। এর মধ্যে পাভেল আন্থভের (Pavel Antov) ছিলেন পুতিন বিরোধী রুশ রাজনীতিক। এরপরেই প্রশ্ন ওঠে, দুই রুশ নাগরিকের মৃত্যুর পিছনে পুতিনের হাত রয়েছে কিনা। এবার এই ঘটনায় তৎপর হল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (National Human Rights Commission)। রায়গড়ের পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন। আগামী ৪ সপ্তাহের এই রিপোর্ট দিতে হবে পুলিশকে।
নিজের ৬৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ভারতে ঘুরতে এসেছিলেন পাভেল আন্থভ। সঙ্গে ছিলেন আরও ৩ জন। তাঁরা ২১ ডিসেম্বর ওড়িশার (Odisha) রায়গড় জেলার একটি হোটেলে ওঠেন। ২২ ডিসেম্বর হোটেলের ঘরে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ভ্লাদিমির বিদেনভকে। হোটেল কর্মীরা রুশ পর্যটককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিদেনভের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর ঘর থেকে প্রচুর পরিমাণে মদের বোতল উদ্ধার হয়েছিল। দু’দিন পর ২৪ ডিসেম্বর হোটেলের ৪ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় রুশ রাজনীতিক পাভেলের।
জানা গিয়েছে, মৃত পাভেল আন্তভ রাশিয়ার আইনসভার সদস্য। তিনি ঘোর পুতিন বিরোধী বলেও পরিচিত। ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) প্রকাশ্য বিরোধিতা করেন পাভেল। ওড়িশার হোটেল দুই রুশ নাগরিকের পর পর মৃত্যুর পর রহস্য ঘনীভূত হয়। যদিও পুলিশের বক্তব্য, এর মধ্যে কোনও রহস্য নেই। দুই পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। যদিও এই বিষয়ে তৎপর হয়েছে মানবাধিকার কমিশন। ওড়াশার পুলিশের কাছে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে দু’টি ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন।
এর মধ্যেই ওড়িশায় আরও এক রুশ নাগরিকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা জানা গিয়েছে। গত শুক্রবার ভুবনেশ্বর রেল স্টেশনে শেষ বার দেখা গিয়েছিল। স্টেশনে ইউক্রেন যুদ্ধ বিরোধী প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। প্ল্যাকার্ডে সাহায্যের আবেদন জানান তিনি। যদিও শনিবার পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, ওই ব্যক্তি নিখোঁজ নন। ৬০ বছর বয়সি ওই রুশ নাগরিকের প্ল্যাকার্ডে লেখাছিল, ‘‘আমি রাশিয়ার এক শরণার্থী। আমি যুদ্ধ এবং পুতিনের বিরোধী। আমার ঘরবাড়ি নেই। দয়া করে সাহায্য করুন।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.