ছবি: সংগৃহীত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপত্যকায় তীর্থযাত্রীদের বাসে জঙ্গি হামলার ঘটনায় বাড়ল মৃতের সংখ্যা। জানা গিয়েছে, বাসে থাকা অন্তত ১০ তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও ৩৩ জন। আপাতত পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ঘটনার তদন্ত করতে এএনআইকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে মল্লিকার্জুন খাড়গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেই এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন।
রবিবার রাতে শিব কিশোরী মন্দির থেকে তীর্থযাত্রী বোঝাই বাসটি কাটরার দিকে যাচ্ছিল। এই কাটরা থেকেই বৈষ্ণোদেবীর যাত্রা শুরু হয়। বাসটি রেয়াসিতে (Kashmir) পৌঁছনোর পরেই আশেপাশের জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা বেরিয়ে আসে। গুলি চালাতে শুরু করে বাস লক্ষ্য করে। লাগাতার গুলিবৃষ্টির মধ্যে বাসটি পাহাড়ের খাদে পড়ে যায়। জানা গিয়েছে, জঙ্গিরা খাদে নেমেও বাস লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। বাসে থাকা এক তীর্থযাত্রী জানান, সকলে মৃতের ভান করে পড়েছিলেন। তাই জঙ্গিরা ভেবেছিল সকলে মারা গিয়েছে। তার পর এলাকা ছেড়ে জঙ্গিরা পালিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ১০ তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আরও ৩৩ জন। ভয়াবহ হামলার পরেই জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয়েছে যৌথ অভিযান। কাশ্মীর পুলিশের পাশাপাশি ভারতীয় সেনা (Indian Army) এবং সিআরপিএফ, ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিও তল্লাশি শুরু করেছে। জঙ্গলের যে এলাকা থেকে হামলা হয়েছিল, সেখানে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চলছে। তবে এখনও জঙ্গিদের সন্ধান মেলেনি। সূত্রের খবর, রেয়াসি ছেড়ে পালিয়েছে জঙ্গিরা। সম্ভবত তিনজন জঙ্গি হামলা চালিয়েছিল তীর্থযাত্রীদের বাসে।
প্রধানমন্ত্রী পদে মোদির (Narendra Modi) শপথগ্রহণের সময়ই বাসে হামলার খবর মেলে। অনুষ্ঠান শেষে কাশ্মীরের উপরাজ্যপালের দপ্তর থেকে জানানো হয়, গোটা ঘটনার পরে খবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। হামলার খবর পেয়ে খাড়গে বলেন, “জাতীয় সুরক্ষা বিঘ্নিত করতে ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা হচ্ছে। পুরো ঘটনাকে ধিক্কার জানাই।” খবর পেয়েই শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্তও দাবি করেছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.