সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে ভারতে গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন চলছে। এর ফলে এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা ঠেকানো গেলেও সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়া মানুষগুলো। চিকিৎসা বা অন্য কোনও প্রয়োজনে অন্য রাজ্যে গিয়ে যেমন আটকে রয়েছেন অনেকে, তেমনি সমস্যা পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। হেঁটে বা ট্রাকে ও বাসে ফিরতে গিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫০০ জনের বেশি মানুষ মৃত্যু হয়েছে। এবার গত ৪৮ ঘণ্টায় শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে চেপে নিজের বাড়িতে ফেরার সময় মৃত্যু হল কমপক্ষে ৯ জনের।
ভারতীয় রেলের আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে ফেরার সময় কমপক্ষে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজন উত্তরপ্রদেশের ও চারজন বিহারের বাসিন্দা। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই অন্য রাজ্যে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। সেখানে থেকে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁদের। এছাড়া শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে আসার সময় নেপালের জনকপুরের এক যুবক শোভন কুমার (২৮) আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বুধবার তাঁর মৃত্যু হয়।
[আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিক কারা? চার দশক পর সংজ্ঞা নিয়ে মাথা ঘামাল কেন্দ্র ]
এপ্রসঙ্গে বালিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় যাদব বলেন, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাদগাঁও-দ্বারভাঙা শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে করে যাওয়ার সময় আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন এক যুবক। তারপর বালিয়া স্টেশনে ট্রেন থেকে নামিয়ে নেপালের জনকপুরের বাসিন্দা ২৮ বছরের শোভন কুমারকে স্থানীয় জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার সময় মৃত্যু হয় তাঁর।
[আরও পড়ুন: ট্রেনের টিকিট দালালদের বিক্রি করছে পুলিশ, অভিযোগ পরিযায়ী শ্রমিকদের]
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল বিহারের মুজাফ্ফরপুর (Muzaffarpur) স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে একরত্তি শিশুর মৃত মাকে জাগানোর চেষ্টার ভিডিও ভাইরাল হয়। যা দেখে শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়েছেন প্রায় সবাই। তারপরও যে কেন কেন্দ্রীয় সরকারের হুঁশ ফিরছে না সেই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।