সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষ চেষ্টা! এবার ফাঁসির রায় সংশোধনের (curative petition) আরজি জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল নির্ভয়া কাণ্ডের অন্যতম দোষী বিনয় শর্মা। ২২ জানুয়ারি সকাল সাতটায় চার ধর্ষকের ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। সেই নির্দেশের মেলার পরই আরও একবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল বিনয়। ফাঁসির সাজা ঘোষণার পর আইনি সাহায্য চাওয়ার জন্য ১৪ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। বিনয় তার পিটিশনে আরজি জানিয়েছেন, যাতে আদালত প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে তার আরজি শোনে। বিনয়ের অভিযোগ, সে গরীব বলেই তাকে ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে।
২২ জানুয়ারির তিহার জেলে তাদের ফাঁসি হওয়ার কথা। কিন্তু একমাস আগে থেকেই সেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, তিহারের তিন নম্বর সেলে পরীক্ষামূলকভাবে ফাঁসি দিয়ে দেখে নেওয়া হবে। ফাঁসির দড়ি কতটা পোক্ত, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ধর্ষকদের ওজন দড়ি নিতে পারছে কি না সব আগে দেখে নেওয়া হবে।দোষী সাব্যস্তদের ফাঁসিতে ঝোলানোর নির্দেশ দেন পাতিয়ালা হাউস কোর্টের বিচারক। সকাল সাতটায় তাদের ফাঁসিতে ঝোলানো হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে চারজন দোষী সাব্যস্ত্কে ১৪ দিনের সময় দেওয়া হয় বিকল্প আইনি সাহায্য নেওয়ার জন্য। সেই অনুযায়ী পাতিয়ালা হাউস কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সু্প্রিম কোর্টে আবেদন করবেন বলে জানান ধর্ষকদের আইনজীবী এপি সিং। যদিও তাতে কোনও লাভ হবে না বলে জানাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল। ফলে ২২ জানুয়ারিতে ফাঁসি ঝুলতে হবে নির্ভয়ার চার ধর্ষককে।
[আরও পড়ুন : CAA’র সমর্থনে ছাপানো ব্যানারে দেশের বানান ভুল, মুখ পোড়াল কেরল বিজেপি!]
রায়দানের সকাল থেকে এই মামলার দিকে নজর ছিল গোটা দেশের। নির্ভয়ার বাবা ও মার মতো অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন অসংখ্য সাধারণ জনগণ মানুষ। মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ চার ধর্ষককে ফাঁসি ঝোলানোর বিষয়ে সবুজ সংকেত দেন পাতিয়ালা হাউস কোর্ট (Patiala House Court)-র বিচারক। সই করেন ধর্ষকদের মৃত্যু পরোয়ানায়। একটু পরে আদালতের বাইরে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই খুশির আমেজ ছড়িয়ে পড়ে এই রায়ের শোনার জন্য অপেক্ষারত মানুষের মনে। স্বস্তির হাসি দেখতে পাওয়া যায় তাঁদের মুখে।