সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর পাঁচেক আগে মধ্যরাতে দিল্লিতে ধর্ষিতা হতে হয়েছিল এক যুবতীকে। পরে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। নির্ভয়া কাণ্ডে দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। সেই অন্ধকার সময় পেরিয়ে ফের আশার আলো দেখতে পেয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। প্রশিক্ষণ শেষে একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার পাইলট হিসেবে যোগ দিয়েছেন নির্ভয়ার ভাই। আর ছেলের এই সাফল্যের জন্য কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নির্ভয়ার বাবা। তিনি বলেন, তাঁদের পরিবারের জন্য যতটুকু করা সম্ভব, সবই করেছেন রাহুল।
[নির্ভয়া কাণ্ডে চার দোষীর ফাঁসির সাজা বহাল সুপ্রিম কোর্টের]
২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর। মধ্যরাতে দিল্লিতে ঘটেছিল এক নারকীয় ঘটনা। বন্ধুদের সঙ্গে সিনেমা দেখে ফেরার পথে, চলন্ত বাসে ধর্ষণ করা বছর চব্বিশের প্যারা মেডিক্যালের এক ছাত্রীকে। ধর্ষণের পর, তাঁর গোপনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে চলে নির্মম অত্যাচার। ঘটনার প্রতিবাদে ঝড় ওঠে দেশ জুড়ে। প্রতিবাদীরা ওই যুবতীর নাম দেয় নির্ভয়া। পরিস্থিতির চাপে চিকিৎসার জন্য নির্ভয়াকে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে পাঠায় তৎকালীন ইউপিএ সরকার। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ১৩ দিন পর মারা যান নির্ভয়া। দেখতে দেখতে পাঁচ বছর কেটে গেল। ফের ঘুরিয়ে দাঁড়িয়েছে নির্যাতিতা পরিবার। নির্যাতিতার ভাই এখন একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার পাইলট। দুঃসময়ে পরিবারের পাশে থাকার জন্য কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নির্ভয়ার বাবা। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে এখন পাইলট। সম্প্রতি প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। ইন্ডিগো এয়ারলাইনসে যোগও দিয়েছে। বিমানও ওড়াচ্ছে। আর একথাও সত্যি, এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে রাহুল গান্ধির জন্য।’ তবে ছেলের নাম প্রকাশ করতে চাননি নির্ভয়ার বাবা।
[‘জাপানে তৈরি বুলেট ট্রেন ভারতের ক্ষমতার প্রতীক হতে পারে না’]
নির্ভয়ার বাবাও দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মী। বারো ক্লাস পাস করার পর, ছেলেকে ইন্দিরা গান্ধী রাষ্ট্রীয় উড়ান অ্যাকাডেমি ভরতি করে দেন তিনি। ঘটনাচক্রে, এই অ্যাকাডেমিটি কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির লোকসভাকেন্দ্র রায়বরেলিতে অবস্থিত। নির্ভয়ার বাবা বলেন, ‘ওই ঘটনার পর রাহুল গান্ধীই আমাদের পরিবারের দেখাশোনা করতেন। তিনি আমাদের নানাভাবে সাহায্য করছেন। ছেলের পড়ার খরচও দিয়েছেন। না হলে ছেলেকে পাইলট করা কখনওই সম্ভব হত না।’ নির্ভয়ার বাবা বক্তব্য, মেয়ে ধর্ষিতা হওয়ার পর, অনেকেই তাঁদের পরিবারকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন। তবে রাহুল গান্ধীই শেষপর্যন্ত তাঁদের পাশে থেকেছেন এবং বিষয়টি গোপন রাখতেও বলেছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, নির্ভয়ারা এক বোন ও দুই ভাই। নির্ভয়াই সবার বড় ছিলেন। তাঁর অন্য এক ভাই পুণেতে পড়াশোনা করছেন।
[এবার মোবাইল ও আধার লিঙ্কের মেয়াদ কমল]