Advertisement
Advertisement

Breaking News

Nitish Kumar Sonia Gandhi

বিরোধী ঐক্যে শান, সোনিয়ার সঙ্গে বৈঠক করতে দিল্লি যাচ্ছেন লালু-নীতীশ

বৈঠকে থাকতে পারেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব।

Nitish Kumar and Lalu Prasad will meet Sonia Gandhi in Delhi | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি।

Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:September 23, 2022 2:09 pm
  • Updated:September 23, 2022 3:46 pm

সোমনাথ রায়, নয়া দিল্লি: জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধী জোটকে শক্তিশালী করে তুলতে সক্রিয় হচ্ছে বিরোধী দলগুলি। সেই কারণেই প্রায় সাত বছর পরে বৈঠকে বসতে চলেছেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) ও সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, শনিবারই দিল্লিতে সোনিয়ার বাসভবনে দেখা করতে আসবেন নীতীশ। তাঁর সঙ্গে থাকবেন আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদবও (Lalu Prasad Yadav)। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিরোধী ঐক্যকে শক্তিশালী করতেই এই বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বিজেপির জোট ভেঙে বেরিয়ে এসে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে বিহারে সরকার গঠন করেছেন নীতীশ। তারপর থেকেই ২০২৪-এর নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবেও তাঁর নাম উঠে আসছিল।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, লালু ও নীতীশ চেয়েছিলেন এই বৈঠকে রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi) থাকুন। কিন্তু তিনি ভারত জোড়ো যাত্রায় ব্যস্ত থাকার ফলে এই বৈঠকে থাকতে পারবেন না। তবে রাহুলের সঙ্গে চলতি মাসের শুরুতেই দেখা করেছিলেন নীতীশ। বুধবার দলের একটি সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে লালু প্রসাদ বলেছিলেন, “আমি ও নীতীশ কুমার একসঙ্গে সোনিয়াজির সঙ্গে দেখা করতে যাব। পদযাত্রা শেষ হলে রাহুল গান্ধীর সঙ্গেও দেখা করব। বিরোধীরা যদি একজোট হয়, তাহলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হঠিয়ে দেওয়া যাবে।” সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ হতে চলেছে মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন PFI, প্রক্রিয়া শুরু কেন্দ্রের!]

কিছুদিন আগেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময়ে বিরোধী দলগুলি ঐক্যবদ্ধভাবে প্রার্থী দিলেও তাদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব প্রকট হয়ে উঠেছিল। বিরোধী ঐক্যের মধ্যে ভাঙন প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছিল উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণার সময়ে। সকল দলের সঙ্গে আলোচনা না করেই কংগ্রেসের মার্গারেট আলভাকে প্রার্থী করায় ক্ষুব্ধ হয়েছিল তৃণমূল-সহ কয়েকটি দল। সব মিলিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে একেবারেই ভাল অবস্থায় নেই বিরোধী জোট। আগে থেকে যথাযথ প্রস্তুতি না নিলে বিজেপির মোকাবিলা করা সম্ভব নয়, একথা মেনে নিয়েই জোটকে আরও শক্তিশালী করতে মাঠে নামছে বিরোধী দলগুলি।

Advertisement

তবে সোনিয়ার সঙ্গে বৈঠক কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গান্ধী পরিবারের কোনও সদস্য কংগ্রেসের সভাপতি পদে থাকবেন না। পরবর্তী কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট হিসাবে উঠে আসছে শশী থারুর ও অশোক গেহলটের নাম। পরিবারতন্ত্রের তকমা ঘোচানোর জন্যই এহেন পদক্ষেপ করছে কংগ্রেস, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু পরোক্ষভাবে দলের ক্ষমতা থাকবে সোনিয়া-রাহুলের হাতেই, তাও বেশ পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। লালু-নীতীশের সঙ্গে সোনিয়ার বৈঠকের কথা প্রকাশ্যে আসার পরে ফের জোরাল হয়েছে কংগ্রেসে পরিবারতন্ত্রের প্রভাব।

[আরও পড়ুন:প্রতারণামূলক ধর্মান্তর রুখতে কড়া পদক্ষেপের দাবি, কেন্দ্রকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ