Advertisement
Advertisement

Breaking News

Indian Railways

রেলে প্রবীণ যাত্রীদের টিকিটে ছাড় নয় এখনই, সাংসদ দেবের প্রশ্নের উত্তরে জানাল কেন্দ্র

এই ঘোষণায় দেশের প্রবীণ নাগরিকদের কপালের চিন্তার ভাঁজ।

No Concession in Rail Fare for Senior Citizens for Now, Says Railways। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:March 17, 2022 8:00 pm
  • Updated:March 17, 2022 8:00 pm

স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: রেলে (Indian Railways) প্রবীণদের টিকিটের ছাড় এখনই মিলবে না। সংসদে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোঁর এই জবাবের পর দেশের প্রবীণ নাগরিকদের কপালের চিন্তার ভাঁজ বাড়লেও স্বস্তি মিলেছে অন্য প্রসঙ্গে। রেলের বাজেট বরাদ্দ সংক্রান্ত আলোচনার জবাব দিতে গিয়ে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, আপাতত রেলের বেসরকারিকরণের কোনও পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রের।

করোনা আবহে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল রেল যাতায়াত। পরবর্তীকালে বিভিন্ন স্পেশ‌্যাল ট্রেনের মাধ্যমে গণপরিবহণের অন্যতম স্তম্ভকে সচল করা হলেও আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে ভারতীয় রেলকে। সেই কারণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড় এবং রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্তর মতো ট্রেনে খাবার, শয্যা-সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই প্রসঙ্গেই এদিন সংসদে লিখিত প্রশ্নের মাধ্যমে প্রবীণদের ছাড়ের বিষয়টি তোলেন তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সাংসদ দেব (Dev)। বাজেট বরাদ্দ আলোচনায় একই প্রশ্ন করেন কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরিও। তাঁরা জানতে চান, কেন বয়স্কদের টিকিটের ছাড় তুলে দেওয়া হল? এটি কি স্থায়ী সিদ্ধান্ত? তা না হলে, কবে থেকে প্রবীণদের টিকিটে ছাড় ফেরানো হবে?

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিমান বিধ্বংসী মিসাইল থেকে গ্রেনেড লঞ্চার, ইউক্রেনকে আরও হাতিয়ার দিচ্ছে আমেরিকা]

উত্তরে রেলমন্ত্রী জানান, প্রাক করোনা অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০১৯-২০র তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবর্ষে রেলের আয় কমেছে। তাই এখন শুধুমাত্র চার শ্রেণির দিব্যাঙ্গ, এগারোটি শ্রেণিভুক্ত রোগী ও পড়ুয়াদের জন্য ছাড় দেওয়া হয়। বাকিদের ক্ষেত্রে এখনই ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়। যদিও কবে থেকে সেই ছাড় মিলতে পারে, সেই সম্পর্কে কোনও ইঙ্গিত দিতে পারেননি রেলমন্ত্রী।

Advertisement

বুধবার বাজেট বরাদ্দ সংক্রান্ত আলোচনায় ওঠে রেলের বেসরকারীকরণ, পরিকাঠামোর উন্নতি-সহ নানা প্রসঙ্গ। জবাব দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, রেলের বেসরকারিকরণের কোনও ভাবনাচিন্তা নেই। তাঁর দাবি, রেল একটি জটিল সংস্থা। এখানে রেল, ট্রেন, প্ল্যাটফর্ম-সহ অন্যান্য বহু বিষয় রয়েছে। পরিকাঠামো-সহ বহু ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলার সঙ্গে বৈমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগও উঠে এসেছে। তার জবাবে পালটা রাজ্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন অশ্বিনী বৈষ্ণোঁ। তাঁর বক্তব্য, “পরিকাঠামোর উন্নতি রেল বা কেন্দ্রের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সব কা বিকাশের জন্য চাই সব কা সাথও। রাজ্য জমি না দেওয়ায় আটকে রয়েছে ১৮টি প্রকল্পের কাজ।”

[আরও পড়ুন: ভূমিকম্পের আফটার শকে বিধ্বস্ত জাপান, লাইনচ্যুত বুলেট ট্রেন, বিদ্যুৎহীন ২০ লক্ষ]

অন্য এক প্রশ্নে এদিন নুসরত জানতে চান, আগামী তিন বছরে কি দেশজুড়ে ৪০০টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিকল্পনা রয়েছে? এই উত্তরও এড়িয়ে গিয়ে বলা হয়, বর্তমানে দেশে দু’জোড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ