সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই গোয়া কংগ্রেসে (Congress) ভাঙনের গুঞ্জন ছিল। দলবদলের খবর পেয়ে গোয়া বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল মাইকেল লোবোকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মুকুল ওয়াসনিককে গোয়ায় পাঠিয়ে দেন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। দুই বিদ্রোহী বিধায়ককে বহিষ্কার করতে চেয়ে স্পিকারের কাছে চিঠিও দিয়েছিল গোয়া কংগ্রেস। তবে আপাতত বিজেপিতে যোগদান করা থেকে আটকানো গিয়েছে বিধায়কদের, সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। তবে ভবিষ্যতে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন কংগ্রেস বিধায়করা, সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
সূত্রের খবর, একসঙ্গে আটজন কংগ্রেস বিধায়ককে দলে যোগদান করানোর পরিকল্পনা ছিল বিজেপির। তাহলে দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় আসবেন না বিধায়করা। কিন্তু সেই মতো কাজ হয়নি। তাই আপাতত এই বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নেবে না বিজেপি। তবে বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে তাঁরা, এমনটাই জানা গিয়েছে। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগম্বর কামাতের নেতৃত্বেই কংগ্রেস নেতারা দল ছাড়বেন এমনটাই অনুমান করা হয়েছিল। আপাতত কামাতের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছে বিজেপি নেতৃত্ব।
আরও জানা গিয়েছে, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য প্রত্যেক বিধায়ককে ১৫-২০ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছিল। ছ’জন বিদ্রোহী বিধায়ককে গোয়া থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করেছিলেন বিজেপির (BJP) এক জাতীয় স্তরের নেতা। তবে সোমবার কংগ্রেসের দলীয় অফিসে মুকুল ওয়াসনিকের সঙ্গে বৈঠক করেন মাইকেল লোবো। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও চার বিদ্রোহী বিধায়ক। উল্লেখ্য, এই বৈঠকে যোগ দেননি কামাত।
বৈঠকের পরে মাইকেল লোবো জানিয়েছেন, তিনি দল পালটানোর কথা ভাবছেন না। তিনি বলেছেন, “পাঁচ বছরের জন্য কংগ্রেসের (AICC) বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছি। সেই কথাই পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছি। আমরা অন্য দলে যোগ দিচ্ছি না। অন্য কেউ দলবদলের চেষ্টা করলেও আমরা কংগ্রেসের সঙ্গেই রয়েছি।” কিন্তু তাঁকে বহিষ্কার করার জন্য ইতিমধ্যেই স্পিকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। ফলে বিধানসভায় তাঁর অবস্থান নিয়েও সংশয় রয়েছে। সেই সংক্রান্ত কোনও প্রশ্নের জবাব পাওয়া যায়নি কংগ্রেসের তরফে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.