সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নোটবাতিলের পর থেকে মোট কত পরিমাণ কালো টাকা জমা পড়েছে সরকারি কোষাগারে? অবশেষে সামনে এল সেই তথ্য। জানা গিয়েছে, মোট ২১,০০০ দেশবাসী নোটবাতিলের পর থেকে গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা প্রকল্পে নিজেদের কালো টাকার তথ্য সরকারকে জানিয়েছেন। যার পরিমাণ মাত্র ৪৯০০ কোটি টাকা। আয়কর দপ্তরে জমা পড়েছে ২৪৫১ কোটি টাকা। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে এই তথ্য জানিয়েছেন এক আয়কর আধিকারিক।
[আরটিআই করেও দুটি বিষয়ে শূন্য, সংসদের ভূমিকায় বিতর্ক]
গত বছরের ৮ নভেম্বর, দেশজুড়ে কালো টাকা নির্মূল করতে পুরানো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি কালো টাকা উদ্ধারে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছিলেন। ২০১৭-র ৩১ মার্চের মধ্যে কালো টাকার কারবারীরা নিজেদের সম্পত্তির কথা জানালে এবং ৫০ শতাংশ কর জমা দিলে ছাড় পাবেন। এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন তিনি। কিন্তু এতদিনে কত পরিমাণ কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে। অবশেষে সামনে এল সেই তথ্য। আয়কর দপ্তরের ওই আধিকারিক জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণ যোজনা প্রকল্পে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ২১ হাজার ভারতীয় নিজেদের কালো টাকার হিসেব জমা দিয়েছেন। যার পরিমাণ প্রায় ৪,৯০০ কোটি। আর আয়কর দপ্তরে জমা পড়েছে ২,৪৫১ কোটি টাকা।’
[বিজ্ঞাপনে ভেড়ার মাংস খাচ্ছেন গণেশ, বিতর্কে অস্ট্রেলিয়ান সংস্থা]
যদিও ৩১ মার্চ সময়সীমা শেষ হওয়ার পর কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব হাসমুখ আধিয়া বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত এই প্রকল্পে ঠিকমতো সাড়া মিলছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই তথ্য থেকে প্রমাণিত হল আধিয়া ভুল বলেননি। ইতিমধ্যে বিরোধীরা এই নিয়ে প্রশ্নও তুলতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, নোট বাতিল কী তাহলে পুরোপুরি ব্যর্থ হল?