সুব্রত বিশ্বাস: এবার কোপ পড়ল রেল কর্মচারীর সন্তানদের শিক্ষা ভাতায়। বর্তমান পরিস্থিতির চাপে কর্মীদের দেওয়া সব রকমের ভাতা বন্ধ রেখেছে রেল। যার মধ্যে সন্তানদের শিক্ষার ভাতাও রয়েছে। তবে ১৪ মে বোর্ড এই ভাতা স্থায়ীভাবে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তা কার্যকর করতে প্রাথমিকভাবে কর্মী ইউনিয়নগুলিকে জানানোর কাজ শুরু করেছে রেল।
[আরও পড়ুন: উলট পুরাণ! এবার ঘোড়া কেনাবেচার ভয়ে রাজস্থানের বিধায়কদের গুজরাটে সরাচ্ছে বিজেপি]
উত্তর-পূর্ব রেলের জিএম সব শ্রেণির কর্মী সংগঠনকে আলাদা আলাদা ভাবে জানিয়েছেন, যে ১৪ মে থেকে কর্মীদের সন্তানদের শিক্ষার ক্ষেত্রে যে ভাতা দেওয়া হয় তা, বন্ধ করা হবে। জিএমের নির্দেশের পরই বিরোধীতা শুরু করে সংগঠনগুলি জানিয়েছে, বেসরকারিকরণের সব ফন্দি দ্রুত কার্যকর হচ্ছে। কোভিড পরিস্থিতির সুযোগে একের পর এক নীতি বিরোধী পরিকল্পনা কার্যকর করছে রেল। পরিস্থিতির চাপে বিরোধ দেখতে আন্দোলনও করা যাচ্ছে না। ফলে সকলের কাছে বিষয়টির গুরুত্ব পৌঁছাচ্ছে না। তাই এই সময়ে একের পর এক ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা নিচ্ছে রেলমন্ত্রক।
এদিকে, ভাতা বাতিল করার বিষয়ে পূর্ব রেলের সদর দপ্তর এখনও পর্যন্ত এমন কোনও পরিকল্পনার কথা ইউনিয়নগুলিকে জানায়নি। পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, এক জোনে যখন কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তখন সর্বত্রই তা কার্যকর হয়ে যাবে। এটা চূড়ান্ত নীতিবিরোধী কাজ বলে জানিয়ে তিনি আরও জানান, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীরা সন্তানদের জন্য চিলড্রেন্স বেনিফিট পেতেন। আগে খুব কম টাকা এই ভাতায় ছিল। এখন বেড়ে বছরে আঠাশ হাজার পড়াশোনা বাবদ দেওয়া হয়। সঙ্গে হোস্টেলে থাকলে আরও পঁচিশ হাজার টাকা বাড়তি। একজন কর্মী দুটি সন্তানের জন্য ভাতা পান। এই ভাতায় কোপ পড়া মনে রেলকর্মীদের সন্তানদের শিক্ষা থেকে দূরে সরিয়ে রাখার প্রচেষ্টা বলে আমিতবাবু মনে করেছেন। আগামী দিনে তাঁরা এর প্রতিবাদে আন্দোলনে যাবেন বলে জানিয়েছেন।