সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষ হইয়াও হয় না শেষ! ৭৯ বছর আগে অমৃতলোকে চলে গিয়েছেন তিনি। তবু বঙ্গজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অমর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)। তিনি ও তাঁর রচনা এখনও কতটা অমোঘ, তা প্রমাণ হল আরও একবার। জাতীয় শিক্ষানীতির ধ্রুপদী ভাষার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক বাংলাকেও। এই অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি (Adhir Ranjan Chowdhury)। এবং এই চিঠিতেও তাঁর অন্যতম ‘উপলক্ষ্য’ হলেন বিশ্বকবি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুবার্ষিকীতে UGC–র কনক্লেভে যখন তাঁর আদর্শের কথা তুলে ধরছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), প্রায় সেই একই সময়ে বাংলার ঐতিহ্যের কথা মনে করিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির ধ্রুপদী ভাষার তালিকায় বাংলাকে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ করলেন অধীরবাবু। প্রথমদিন থেকেই জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ নিয়ে নিজেদের মতো করে আপত্তি জানিয়ে আসছে বিরোধীরা। পাল্টা মতামত দিচ্ছে সরকারপক্ষও। কবিগুরুর প্রয়াণ দিবসে যা পেল নতুন মাত্রা। নতুন শিক্ষানীতিতে সংস্কৃত ও হিন্দির পাশাপাশি ধ্রুপদ ভাষার তালিকায় স্থান পেয়েছে তামিল, তেলুগু, কন্নড়, মালয়ালম ও ওড়িয়া। এই তালিকায় কেন বাংলার নাম নেই, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিই লিখে বসলেন কংগ্রেস নেতা।
এদিন নরেন্দ্র মোদিকে লেখা চিঠিতে বহরমপুরের সাংসদ উল্লেখ করেছেন প্রথম অ–ইউরোপীয় কবি হিসাবে ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পাওয়ার কথা। বিশ্বে সর্বাধিক কথা বলা ভাষায় পঞ্চম স্থানে থাকা বাংলার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। জানতে চান কোন কোন মাপদণ্ড পার করায় কোনও ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে? তিনি বলেন, “আজ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস। যিনি প্রথম অ–ইউরোপীয় কবি হিসাবে ১৯১৩ সালে নোবেল (Noble) সম্মান পেয়েছেন। এই একটা সহজ বিষয়ই কেন বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষায় স্থান দেওয়া হল না, তা জানার জন্য যথেষ্ট। যদিও আমি জানতে চাই যে ধ্রুপদী ভাষায় স্থান পেতে কোনও ভাষাকে কোন কোন মাপকাঠিতে রেখে বিচার করা হয়েছে? বাংলার নিজস্ব ঐতিহ্য রয়েছে। তাই আমি বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ করছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.