সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩৭০ বিলোপ হওয়ার পর গোটা দেশে বেড়ে গিয়েছে কাশ্মীরি মেয়েদের সন্ধান। গুগল সার্চে একধাক্কায় উপরে উঠে আসে ‘কাশ্মীরি গার্ল’ এবং ‘ম্যারি কাশ্মীরি গার্ল’ কিওয়ার্ড। আসলে ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার পর গোটা দেশের যুবসমাজের একাংশ কাশ্মীরি মেয়েদের সহজলভ্য মনে করতে শুরু করেছে। সেই তালিকায় নাম লেখালেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টারও। তিনি বললেন, ‘এখন তো আমরা চাইলে কাশ্মীর থেকেও মেয়ে আনতে পারি।’ যা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই মন্তব্যটি আবার তিনি করেছেন বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও অনুষ্ঠানের মঞ্চে। যা বিতর্কের মাত্রা আরও বাড়িয়েছে।
হরিয়ানা এমন একটা রাজ্য যা মহিলাদের উপর অত্যাচারের নিরিখে এক্কেবারে উপরের সারিতে রয়েছে। ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির মতো ঘটনা হরিয়ানায় নিত্তনৈমিত্তিক। একসময় পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের জন্মহারও ছিল সংকটজনক। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর এই রাজ্যেও বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও প্রকল্প চালু করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, এই প্রকল্পে ভালই সাড়া মিলেছে। অথচ, এই প্রকল্পের পুরোধা খোদ মুখ্যমন্ত্রী লিঙ্গবৈষম্যমূলক মন্তব্য করে বসলেন, তাও আবার বেটি বাঁচাও-এর মঞ্চে এসেই। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।
ঠিক কী বলেছিলেন খাট্টার? বেটি বাঁচাও-এর প্রচারমূলক একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে খাট্টার বলেন, “আমাদের মন্ত্রী ওপি ধনকর মাঝে মাঝে বলতেন, আমরা বিহার থেকে বউমা আনব। কিন্তু, আজকাল তো লোকে বলছেন, কাশ্মীরের রাস্তা খুলে গিয়েছে। এখন আমরা কাশ্মীর থেকেও মেয়েদের আনতে পারব।” মুখ্যমন্ত্রীর মতো পদে থেকে খাট্টার এমন মন্তব্য কী করে করলেন, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। তবে, খাট্টারই প্রথম নন। এক আগে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক বিক্রম সিংও একই রকম মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, , ‘দলের কর্মীরা উৎফুল্ল, বিশেষ করে যাঁরা অবিবাহিত। এবার ফর্সা কাশ্মীরি মেয়েদের সঙ্গে তাঁদের বিয়ে দেওয়া যাবে। আগে ভিনরাজ্যে বিয়ে করলে কাশ্মীরি মহিলারা নাগরিকত্ব খোয়াতেন। তাঁদের উপর অনেক অত্যাচার হত। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা না থাকে এবার সেসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কাশ্মীরি মহিলারা।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.