Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বিষিয়ে দেবে এনআরসি, উদ্বেগ মমতার

'সীমান্ত পাহারা দেওয়া তো কেন্দ্রের কাজ, তাহলে এত অনুপ্রবেশ কেন?'

NRC will destroy relation between India and Bangladesh, claims CM Mamata
Published by: Saroj Darbar
  • Posted:August 1, 2018 5:04 pm
  • Updated:August 1, 2018 5:04 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এনআরসি-তে যেভাবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী তকমা দিয়ে ৪০ লক্ষ মানুষকে বাস্তুহারা করা হচ্ছে তার বিরোধিতা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই এ নিয়ে সুর চড়িয়েছেন তিনি৷ এবার অন্য উদ্বেগ ধরা পড়ল তাঁর কথায়৷ মমতা জানালেন, এই এনআরসি ইস্যু ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কেও ধ্বংস করে দিতে পারে৷

এনআরসি-তে নাম না থাকলেও দেওয়া যাবে ভোট, ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের ]

Advertisement

বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখারই পক্ষপাতী মমতা৷ এর আগে তিস্তার জলবন্টন নিয়েও যতবার বিতর্ক দেখা দিয়েছে ততবার নিজের বাধ্যবাধকতা ও অবস্থান পরিষ্কার করেছেন৷ বাঙ্গলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কও ভাল৷ এনআরসি ইস্যুতে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করেছে অসম সরকার৷ সংখ্যা প্রায় ৪০ লক্ষ৷ এখনও সংশোধনের কাজ চলবে৷ তাতে যদি অর্ধেকও কম হয়, তবে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের ভিটেহারা হওয়ার সম্ভাবনা৷ প্রশ্ন হচ্ছে, যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন এককালে, তাঁদের কি এখন ফিরিয়ে নেবে সে দেশ? স্বভাবতই উত্তরটা ‘না’৷ হাবেভাবে সে কথা বুঝিয়েও দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার৷ জানানো হয়েছে, এটা ভারতের নিজস্ব সমস্যা৷ এ নিয়ে তাই কোনও মন্তব্য করতে নারাজ বাংলাদেশ প্রশাসন৷ এ থেকেই স্পষ্ট যে ভারতের উদ্বাস্তুদের বাংলাদেশ ফিরিয়ে নেবে না৷ এই নিয়ে জোরাজুরির চোটে ভারত-বাংলাদেশ সুসম্পর্ক যে নষ্ট হবে, এমনটাই আশঙ্কা মমতার৷

Advertisement

শুধু সংখ্যালঘু নয়, কতটা ক্ষতিগ্রস্ত অসমের হিন্দু বাঙালিরা? ]

এনআরসি ইস্যুতে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা করেছিলেন মমতা৷ তা নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে৷ একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর এরকম কথা বলা উচিত নয় বলেও অনেকে সমালোচনা করেছেন৷ এর উত্তরে মমতা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলে কি তিনি মানুষ নন! একজন মানুষ হিসেবে তিনি যে গৃহযুদ্ধ চান না সে কথাই বারবার বলতে চাইছেন৷ কেন তিনি এনআরসি ইস্যুতে এতটা সরব? মমতার বক্তব্য, বাংলার পড়শি রাজ্য অসম৷ সীমান্ত ভাগাভাগি আছে, ফলে অসমে কিছু হলে তার প্রভাব তো দিল্লিতে পড়বে না, বাংলাতেই পড়বে৷ সুতরাং তিনি যে উদ্বিগ্ন তাতে দোষের কিছু নেই৷ তাঁর অভিযোগ অনুপ্রবেশ যদি হয়েও থাকে তা বড়জোর ১ শতাংশ৷ তবে নাগরিকপঞ্জির নাম করে একেবারে ৪০ লক্ষ মানুষকে বাতিল করা হচ্ছে৷ তাহলে এই অনুপ্রবেশের দায় কে নেবে? সীমান্ত পাহারা দেওয়া তো কেন্দ্রের কাজ৷ বিএসএফ তাহলে কী করছিল? পালটা প্রশ্ন তুলে অনুপ্রবেশ নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকাকেই কাঠগড়ায় তুললেন মমতা৷  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ