সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অদৃশ্য শত্রুর সঙ্গে প্রায় কয়েকমাস ধরে লড়াই চালাচ্ছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু এখনও মেলেনি জয়। কারণ, প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে করোনা (Coronavirus) সংক্রমিতের সংখ্যা। মৃত্যুর হার তুলনামূলক অনেকটাই কম। তবে ভাইরাসের দাপটে যে কেউ প্রাণ হারাচ্ছেন না তা কার্যত বলা অসম্ভব। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলির জন্য নয়া অ্যাডভাইজারি জারি করল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর (ICMR)। তবে প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট রাজ্য ওই নির্দেশিকায় কিছু বদল আনতে পারে।
আইসিএমআরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, চাহিদা অনুযায়ী করাতে হবে নমুনা পরীক্ষা। সেক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তির কাছে প্রেসক্রিপশন (Prescription) না থাকলেও চলবে।
Union Health Ministry updates advisory on #COVID19 testing; introduces ‘on-demand’ testing without a prescription
Individuals who wish to get tested and those undertaking travel can get ‘on-demand’ test pic.twitter.com/aP7ElbfY12
— ANI (@ANI) September 5, 2020
এছাড়া যাঁরা কনটেনমেন্টে জোনের (Containment Zone) বাসিন্দা তাঁদের ক্ষেত্রে ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বাধ্যতামূলক। বিশেষত যে সমস্ত এলাকায় সংক্রমিতের সংখ্যা অনেকটাই বেশি সেখানকার বাসিন্দাদের এই নিয়ম অবশ্যই মানতে হবে। শহরাঞ্চলের বাসিন্দাদের কথা মাথায় রেখেই মূলত এই সিদ্ধান্ত বলেই নির্দেশিকার উল্লেখ করেছে ICMR। ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, যদি ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ না পাওয়া সত্ত্বেও উপসর্গ দেখা দিলে তাঁর আরটি-পিসিআর টেস্ট করাতে হবে। এছাড়াও ICMR-এর নির্দেশিকা মতে, যাঁরা ভিনরাজ্যে কিংবা ভিনদেশে যাতায়াত করছেন, তাঁদেরও কোভিড পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক।
[আরও পড়ুন: ভাবনাচিন্তার দৈন্যতার দায় ঈশ্বরের ঘাড়ে! অর্থনীতি নিয়ে নির্মলাকে বিঁধলেন তাঁর স্বামীই]
তবে করোনা পরীক্ষার অভাবে যাতে জরুরি কোনও প্রক্রিয়া থমকে না থাকে সেদিকেও রাজ্যগুলিকে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছে ICMR। যেমন কোনও প্রসূতির চিকিৎসার বন্দোবস্ত যাতে কোভিড পরীক্ষার জন্য আটকে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখার কথা বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আরটি-পিসিআর টেস্টেই মূলত নিশ্চিতভাবে জানা যায় সত্যিই কেউ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কিনা। তবে যেহেতু করোনা মোকাবিলার ব্রহ্মাস্ত্র হিসাবে বেশি পরিমাণ পরীক্ষার করানোর কথা বলা হয়েছে, তাই ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।