সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদ থেকে বিজয়চক। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস (Congress), শিবসেনা-সহ বিরোধীদের মিছিলে ফের জোরাল হল পেগাসাস (Pegasus), কৃষি আইনের (Farm Law) মতো নানা ইস্যু ঘিরে প্রতিবাদ। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দাবি করলেন, যেভাবে সংসদে বিরোধীদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি তা গণতন্ত্রের হত্যা। কোনও আলোচনা ছাড়াই যেভাবে সংসদে (Parliament) আইন পাশ করিয়ে নেওয়া হচ্ছে তার প্রতিবাদেও সরব হতে দেখা গেল বিরোধীদের। মিছিলে অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদরা।
বুধবারই শেষ হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। নির্ধারিত সময়ের আগেই এবারের অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরই বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছিল বিরোধী দলগুলি। এরপর প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে মিছিল করে তারা।
The opposition didn’t get a chance to present their views in Parliament. Yesterday’s incident against women MPs was against democracy. It felt like we were standing at the Pakistan border: Sanjay Raut, leader, Shiv Sena pic.twitter.com/MZYeQ1Qju9
— ANI (@ANI) August 12, 2021
[আরও পড়ুন: Aadhar কার্ডের ত্রুটি শোধরাতে চান? আগামী সপ্তাহেই মেগা সেন্টার চালু করছে কলকাতা পুরসভা]
মিছিলের পর রাহুল ক্ষোভ উগরে দেন সংসদের বাদল অধিবেশনে বিরোধীদের সঙ্গে হওয়া আচরণের বিরুদ্ধে। তাঁর কথায়, ”এই প্রথম রাজ্যসভায় সাংসদদের মারা হল। তাঁদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হল। চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, তিনি হতাশ। স্পিকারও একই কথা বলেছেন। কিন্তু কক্ষের কাজ ঠিকমতো পরিচালনা করা তাঁদেরই দায়িত্ব। কেন তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে পারলেন না?” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ”আজ আপনাদের (সংবাদমাধ্যম) সঙ্গে আমরা কথা বলতে এসেছি। সংসদে কিন্তু আমাদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি। এটা গণতন্ত্রের হত্যা।”
শিবসেনা (Shiv Sena) সাংসদ সঞ্জয় রাউতও রাজ্য়সভায় বিরোধী সাংসদদের সঙ্গে হওয়া আচরণের তীব্র প্রতিবাদ করেন। মনে করিয়ে দেন, মহিলা সাংসদদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ”মনে হচ্ছিল আমরা যেন পাকিস্তানের সীমান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছি। বিরোধীদের সংসদে কথা বলার কোনও সুযোগই দেওয়া হল না।”
[আরও পড়ুন: Indian helicopter Taliban: আফগান সেনাকে ভারতের দেওয়া অ্যাটাক হেলিকপ্টার দখল তালিবানের]
এবার সংসদের বাদল অধিবেশনের গোড়া থেকেই পেগাসাস ইস্যু নিয়ে উত্তাল হয়েছিল সংসদ। সেই সঙ্গে কৃষি আইনের মতো ইস্য়ুও ছিল। বিরোধীদের বহুবারই দেখা গিয়েছিল ওয়ালে নেমে এসে প্রতিবাদে শামিল হতে। ফলে বারবার মুলতুবি করে দেওয়া হয় অধিবেশন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের আগেই সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় এবারের অধিবেশনের।