Advertisement
Advertisement

‘গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াই’, মহাজোটের বৈঠক শেষে এককাট্টা বিরোধীরা

বৈঠকে অনুপস্থিত অখিলেশ-মায়াবতী।

Opposition parties meets at Delhi
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:December 10, 2018 8:58 pm
  • Updated:December 10, 2018 8:58 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  শুধু শক্তি প্রদর্শন নয়। শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে দেশের সব বিরোধী দল এককাট্টা, তা প্রমাণ করতেই ছিল আজকের বিরোধী জোটের বৈঠক। এরই মধ্যে সদ্য এনডিএ-র বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে বিরোধী শিবিরে যোগ দিয়েছেন উপেন্দ্র কুশওয়াহার। যা আজকের বৈঠকে অক্সিজেন হিসাবে কাজ করেছে। তবে কোথাও যেন বৈঠকের তাল কাটল উত্তরপ্রদেশের দুই হেভিওয়েটের অনুপস্থিতিতে। মায়াবতীর অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা আগে থেকেই চলছিল। বৈঠকের দিন দেখা গেল অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টিরও কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত নেই। সপা-বসপা অনুপস্থিত থাকলেও এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিরোধীদের ১৭টি দলের প্রতিনিধিরা।

 

[বিশৃঙ্খল অর্থনীতিকে শৃঙ্খলায় ফিরিয়েছেন উর্জিত, প্রশংসা মোদি-জেটলির]

হেভিওয়েটদের তালিকাও ছিল লম্বা। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার, টিডিপি সুপ্রিমো তথা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা, ডিএমকে প্রধান এম কে স্টালিন, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বাবুলাল মারান্ডি, এলজেপির শরদ যাদব-সহ একগুচ্ছ বিরোধী নেতা। গুলাম নবি আজাদ, এ কে অ্যান্টনি, আহমেদ প্যাটেল, অশোক গেহলটের মতো বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকের আগে পৃথকভাবে কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন স্টালিন, ফারুক আবদুল্লা। চন্দ্রবাবু নায়ডুর সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেসের আহমেদ প্যাটেল।

[কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতের জের! RBI গভর্নর পদ থেকে ইস্তফা উর্জিত প্যাটেলের]

বৈঠকের মাঝেই আরবিআই গভর্নর উর্জিত প্যাটেলের পদত্যাগের খবর আসে। বৈঠক শেষে বিরোধীদের আক্রমণের ভাষাও ছিল মূলত উর্জিতের পদত্যাগ নিয়ে। তবে, বিরোধী ঐক্য নিয়েও সুর চড়ান কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, “বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়াই চলছে। আমাদের লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে। আমাদের লড়াই গণতান্ত্রিক সংস্থার উপর বিজেপি-আরএসএসের হামলার বিরুদ্ধে। বিজেপিকে হারানোই আমাদের লক্ষ্য।” সূত্রের খবর, বৈঠকে পাঁচ রাজ্যের ফলাফল যাচাই করে আগামী দিনের রণকৌশল নির্ধারণের পাশাপাশি আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে কী কী ইস্যু নিয়ে আন্দোলন হবে তাও ঠিক করা হয়েছে। রাফালে দুর্নীতি, কেন্দ্রের হাতে স্বশাসিত সংস্থাগুলির আক্রান্ত হওয়া এবং দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক হিংসার বাতাবরণের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে চলেছেন বিরোধীরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ