সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যতই অবনতি হোক না কেন, পাক নাগরিকদের মেডিক্যাল ভিসা দেওয়ার প্রশ্নে দরাজ বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে সবসময়ই তাঁদের পাশে দাঁড়ান তিনি। বিদেশমন্ত্রী উদ্যোগে ভারতে আসার মেডিক্যাল ভিসা পেয়েছেন, এমন পাক নাগরিকের সংখ্যা নেহাত কম নয়। কিন্তু, এবার বিদেশমন্ত্রীর এই ভুমিকাকে কটাক্ষ করল পাকিস্তান। পাক-বিদেশমন্ত্রকের তরফে এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাক–নাগরিকদের মেডিক্যাল ভিসা আবেদন মঞ্জুর করাটা ‘ ইন্ডিয়ান গিমিক’ ছাড়া আর কিছুই নয়। পাক-বিদেশমন্ত্রকের এই বিবৃতিতে হতবাক অনেকেই।
[ভারতে এসে ঘুরতে যাওয়া নয়, পাক আধিকারিকদের ফরমান বিদেশমন্ত্রকের]
প্রতি বছর চিকিৎসার প্রয়োজনে ভারতে আসতে হয় বহু পাক-নাগরিককে। কিন্তু, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারণে এখন নাগরিকদের ভারতে আসার ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া বদল করেছে পাক-সরকার। নয়া নিয়মে, পাক বিদেশমন্ত্রকের উপদেষ্টা সরতাজ আজিজের লিখিত সুপারিশ ছাড়া পাক-নাগরিকদের ভিসা দেওয়া যায় না। কিন্তু, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই সুপারিশপত্র দিতে গড়িমসি করা হয় বলে অভিযোগ। ফলে সমস্যায় পড়েন ভিসার আবেদনকারীরা। এক্ষেত্রে পাক-নাগরিকদের বড় ভরসা ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তাঁকে টুইট করে সমস্যা কথা জানিয়েছে উপকৃত হয়েছেন অনেকেই। মিলেছে এদেশের আসার মেডিক্যাল ভিসা। শুধু সীমান্তের ওপারেই নয়, বিদেশমন্ত্রীর এই মানবিক ভুমিকা প্রশংসা কুড়িয়েছে গোটা বিশ্বের। যদিও সুষমা স্বরাজের এই ভুমিকাকে গিমিক বলে মনে করে পাকিস্তান। এই ইস্যুতে একটি বিবৃতি জারি করেছে পাক-বিদেশমন্ত্রক। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ধরণের গিমিকে কাউকে বোকা বানানো যাবে না। পাক-নাগরিকদের সহানুভূতি দেখানো নয়, বরং মেডিক্যাল ভিসাকে হাতিয়ার করে পরিকল্পনমাফিক রাজনীতি করছে ভারত।
[হাফিজ সইদের মুক্তিতে মুখোশ খুলল পাকিস্তানের, কড়া সমালোচনায় ভারত]
পাক-বিদেশমন্ত্রকের এই বিবৃতিতে হতবাক অনেকেই। তাঁদের বক্তব্য, বিদেশমন্ত্রীর মানবিক ভুমিকায় তো উপকৃত হচ্ছেন সেদেশের নাগরিকরাই। তাহলে পাক-বিদেশ মন্ত্রকের এই ধরণের বিবৃতির অর্থ কী? শুধু তাই নয়, এই বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে অসম্মান করা হয়েছে বলেও মনে করছেন তাঁরা।
[ লালফৌজকে ধরাশায়ী করতে ডোকলামে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ ভারতীয় সেনার]