Advertisement
Advertisement

রাজপুত রাজাদের বাঁদরের সঙ্গে তুলনা, পরেশের মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক

এবার কর্ণি সেনার কোপে খোদ বিজেপি সাংসদ।

Paresh Rawal compares royals with monkeys, later apolozised
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 26, 2017 10:09 am
  • Updated:September 22, 2019 3:51 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘পদ্মাবতী’ বিতর্ক আর স্রেফ সিনেমার চৌহদ্দিতে আটকে নেই। ইতিহাস-ছায়াছবির বাইরে তা পৌঁছেছে রাজনৈতিক সীমানায়। সে বিতর্কের আগুনেই ঘি ঢাললেন অভিনেতা তথা বিজেপি সাংসদ পরেশ রাওয়াল। এবার রাজপুত রাজাদের বাঁদরের সঙ্গে তুলনা করে কর্ণি সেনার বিরাগভাজন হলেন তিনি।

পদ্মিনী মহলের ফলক ঢেকে দিল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে, শুরু বিতর্ক ]

Advertisement

রাজকোটে এক জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন সাংসদ-অভিনেতা। সেখানেই রাজপুতদের নিশানা করে কটূক্তি করেন তিনি। রাজা আর রাজার গুণ যারা গায় সেই ভজাদের সরাসরি বাঁদরের সঙ্গে তুলনা করে বসেন তিনি। এ কথা কানে ওঠে কর্ণি সেনার। সারা দেশেই পদ্মাবতী নিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাঁদের ‘দেবীকে’ কখনওই সাধারণ একজন মানুষ হিসেবে মানতে নারাজ তাঁরা। পাশাপাশি কোনও মুসলমান সম্রাটের লালসার দৃষ্টি তাঁর উপর পড়তে পারে, তাও মানছেন না। সত্যি হোক বা কাল্পনিক, পদ্মাবতীর কাহিনিকেই যেন উপেক্ষা করে, অকল্পনীয় ইতিহাসের নামে তাণ্ডব চালাচ্ছে এই কর্ণি সেনা। স্বাভাবিকভাবেই রাজপুত রাজাদের এহেন তুলনা তাঁরা মেনে নেননি। অভিনেতাকে তাঁর মন্তব্যের জন্য সতর্ক করা হয়। পরেশ যে হোটেলে ছিলেন, তার বাইরে বিক্ষোভও দেখানো হয়।

Advertisement

পরিশ্রমের মূল্য পেলেন বিধবা মা, প্রশাসনিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নজির তিন কন্যার ]

এরপরই অবস্থান বদলে ক্ষমা চেয়ে নেন পরেশ। তিনি জানান, “রাজপুতরা বীর। তাঁদের বীরত্বগাথা সকলেই জানেন। সুতরাং তাঁদের উদ্দেশ্যে আমি কোনও খারাপ কথা বলতে পারি না।” তাঁর মন্তব্যের জন্য কেউ আঘাত পেলে, তিনি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী বলেও জানান।

এদিকে পদ্মাবতী বিতর্ক নিয়ে আলিয়া ভাটের পর সরব হয়েছেন অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। ইতিমধ্যেই দীপিকার নাককাটা ও মুণ্ডচ্ছেদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। ‘পদ্মাবতী’কে পশ্চিমবঙ্গে স্বাগত জানিয়ে বিজেপি নেতার হুমকি পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই প্রেক্ষিতেই দিয়ার প্রশ্ন, “কোন দিকে যাচ্ছে দেশ? এভাবেই যদি হুমকি চলতে থাকে, তাহলে এখানে মহিলারা নিজেদের নিরাপদ কীভাবে ভাববে?”

[‘হিন্দু জনসংখ্যা বাড়াতে প্রত্যেক দম্পতিকে চার সন্তানের জন্ম দিতে হবে’ ]

এর অবশ্য উত্তর নেই। গোদের উপর বিষফোড়ার মতো চিতোর দূর্গে পদ্মিনী মহলের ফলকের উপর কালো কাপড় চাপিয়ে দিয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে। সিনেমা তো চাপা পড়েইছে। এবার কি ইতিহাসও তাহলে অন্ধকারে গেল? আপাতত ঘোরাঘুরি করছে সে প্রশ্নই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ