Advertisement
Advertisement
সংসদের ক্যান্টিন

ভরতুকি বাতিলের পর এবার সংসদের খাবারের মেনুতে বদল! মিলবে শুধু নিরামিষ পদ

সংসদের খাবারের দায়িত্ব পেতে চলেছে বেসরকারি সংস্থা।

Parliament canteen may soon scrap all non-veg items
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 14, 2020 2:51 pm
  • Updated:January 14, 2020 2:51 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভরতুকি বাতিলের পর এবার সংসদের খাবারের মেনুতেও বদল আসছে। এরপর থেকে আর সংসদের ক্যান্টিনে আমিষ খাবার পাবেন না সাংসদরা। তাঁদের শুধু শাকাহারী অর্থাৎ নিরামিষ খাবারে দিন গুজরান করতে হবে। সংসদ সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই সংসদের ক্যান্টিনের দায়িত্বে থাকা সংস্থা আইআরসিটিসিকে বিদায় জানাতে চলেছে কেন্দ্র। তার পরিবর্তে খাবার সরবরাহের দায়িত্ব পেতে পারে হলদিরাম বা বিকানেরওয়ালার মতো প্রসিদ্ধ কোনও সংস্থা। এই দুই সংস্থার কোনওটিই আমিষ খাবার সরবরাহ করে না। তাই, এদের কেউ বরাত পেলে শুধু নিরামিষ খাবারই খেতে হবে সাংসদদের।

Parliament-Cantin
সূত্রের খবর, সংসদের অন্দরে খাবার সরবরাহ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আইআরসিটিসির (IRCTC) বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল সাংসদদের। খাবারের মান, খাবারের পরিমাণ এবং দাম, সবকিছু নিয়েই অসন্তোষ বাড়ছিল আইআরসিটিসির বিরুদ্ধে। তাই বেশ কিছুদিন ধরেই আইআরসিটিসির পরিবর্তে অন্য কোনও সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে,আইআরসিটিসির পরিবর্তে খাবার সরবরাহের দায়িত্ব পেতে পারে কোনও বেসরকারি সংস্থা। দুটি সংস্থা আপাতত এই লড়াইয়ে এগিয়ে। যে দুই সংস্থা দায়িত্ব পেতে পারে তারা হল, হলদিরাম এবং বিকানেরওয়ালা। সরকারি সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই এই দুই সংস্থার যে কোনও একটি সংসদে খাবার সরবরাহের দায়িত্ব পেতে পারে। মজার কথা হল, এই দুই সংস্থাই শুধুমাত্র নিরামিষ খাবার বিক্রি করে। সেক্ষেত্রে, এদের কেউ দায়িত্বে থাকলে শুধু নিরামিষ খাবারই পাবেন সাংসদরা। আমিষ খাবার তথা বিরিয়ানির স্বাদ ভুলে যেতে হবে আমিষাশীদের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘জামা মসজিদ পাকিস্তানে নাকি?’ আজাদের গ্রেপ্তারিতে দিল্লি পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের]

উল্লেখ্য, দেশের অর্থনীতির কথা মাথায় রেখে গতবছরের শেষের দিকে সংসদের খাবারে সবরকম ভরতুকি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সাংসদরা। এর আগে সংসদে খাবারের ভরতুকি বাবদ সরকারকে খরচ করতে হত ১৭ কোটি টাকা। এখন সেই টাকা আর খসছে না রাজকোষ থেকে। সরকার এখন চাইছে, সংসদের খাদ্য সরবরাহের এই প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি বেসরকারি করে দিতে। বেসরকারিকরণ হয়ে গেলে সাংসদ, সংসদের কর্মী, নিরাপত্তারক্ষী, সংবাদমাধ্যম এবং সাংসদদের অতিথিদের প্রত্যেকেই গুণতে হবে অতিরিক্ত টাকা।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ