সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হতেই Coronil নিয়ে ডিগবাজি খেল পতঞ্জলি। শুরু থেকেই এই ওষুধকে করোনার প্রতিষেধক দাবি করে আসা আয়ুর্বেদিক সংস্থা ঢোক গিলে বলছে, Coronil মোটেই করোনার ওযুধ নয়। বরং শরীরে মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোই এই ওষুধের মূল কাজ। বাবা রামদেবের সংস্থার এমন ডিগবাজি দেখে অনেকের মনেই পতঞ্জলির ধাপ্পাবাজির সন্দেহ দৃঢ় হচ্ছে। আবার অনেকে বলছেন, প্রতারণার অভিযোগে জেলযাত্রা ঠেকাতেই এখন ঢোক গিলেছে বাবা রামদেব ও সংস্থার সহ-কর্ণধার আচার্য বালকৃষ্ণ।
প্রসঙ্গত, শনিবারই জয়পুরের জ্যোতিনগর থানায় যোগগুরুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তাঁর পাশাপাশি পতঞ্জলির সিইও আচার্য বালকৃষ্ণ, বৈজ্ঞানিক অনুরাগ বর্ষণেই, এনআইএমএসের (NIMS) চেয়ারম্যান ড. বলবীর সিং তোমার এবং অধিকর্তা ড. অনুরাগ তোমারের বিরুদ্ধেও এফআইআর করা হয়। অভিযোগ, করোনা সংক্রমণ প্রতিহত করতে পারে বলে এঁরা করোনিলের প্রচার করছেন। যাতে বিভ্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। থানার এসএইচও সুধীর কুমার উপাধ্যায় খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজস্থান হাই কোর্টের আইনজীবী বলরাম জাখর। তাঁর দাবি, এর পিছনে কোম্পানির ‘অপরাধমূলক ইচ্ছা’ লুকিয়ে রয়েছে। ৪২০-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘করোনিল’ বানিয়ে আরও বিপাকে পতঞ্জলি, রামদেব-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দায়ের FIR]
মনে করা হচ্ছে, এই এফআইআর দায়ের হওয়ার পরই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে নয়া দাবি করেছে পতঞ্জলি। মঙ্গলবার যোগগুরুর সংস্থার দাবি, ‘আমরা করোনা আক্রান্ত রোগীর উপর করোনিলের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করেছিলাম। তাতে রোগীরা সুস্থও হয়েছেন। তবে আমরা কখনওই দাবি করেনি এটি করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক।’ পতঞ্জলির নয়া দাবিতে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে। অনেকেই বাবা রামদেবের বিরুদ্ধে ধাপ্পাবাজির অভিযোগে সরব হয়েছেন।