Advertisement
Advertisement

পরিশ্রমের মূল্য পেলেন বিধবা মা, প্রশাসনিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নজির তিন কন্যার

কে বলে নারী ক্ষমতায়ন স্রেফ স্টাইল আর ফ্যাশনে সীমাবদ্ধ!

Paying to Hard work of widow mother 3 Sisters From Rajasthan Passed RAS Exams
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 26, 2017 8:18 am
  • Updated:September 22, 2019 3:19 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মা পারেননি। পেরেছেন মেয়েরা। মায়ের ঘাম-শ্রমের মূল্য দিয়েছেন সাফল্যে। বিধবা মা নিজে পড়াশোনা জানেন না। তবু তাঁর তিন কন্যাই রাজস্থানের প্রশাসনিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। সম্প্রতি এ খবর নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে নেটদুনিয়ায়।

[ হনুমানের মৃত্যুতে শোকমিছিল এলাকায়, চাঁদা তুলে শ্রাদ্ধ-শান্তির আয়োজন ]

Advertisement

তিন কন্যার কীর্তি সামনে এনেছেন মানবাধিকার কর্মী রুক্মিণী কুমারী। নারী ও শিশুদের কল্যাণের জন্য কাজ করেন তিনি। সম্প্রতি মায়ের সঙ্গে এই তিন বোনের ছবি তিনি পোস্ট করেছেন টুইটারে। ফলে নতুন করে শুরু হয়েছে আলোচনা। নারী ক্ষমতায়ন আজ আর স্রেফ আলোচনার বিষয় নয়। পুরুষনির্ভর সমাজব্যবস্থায় তা শুধু বিশেষ মনযোগ আকর্ষণের ক্ষেত্রও নয়। সিন্ধু-সাক্ষী-মিতালী-দীপারা নিজেদের কৃতিত্বে ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন আলোচনার ভরকেন্দ্র। কিন্তু ক্ষমতায়নের এ কাহিনি শুধু এই গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ নয়। তা আরও বিস্তৃত। এবং সেখানে অবশ্যই কুর্নিশ আদায় করে নেন এই মহিলা।

Advertisement

রাজস্থানের বাসিন্দা। স্বামীকে হারিয়েছেন। তিন কন্যার ভরণপোষণের দায়িত্ব একসময় তাঁর কাঁধেই ছিল। চেনা এ ছবি ভারতের সর্বত্র। কিন্তু অক্ষরজ্ঞানহীন এই মহিলা সে ছবি পালটে দিয়েছেন তাঁর জেদ, শ্রম আর নিষ্ঠা দিয়ে। মাঠে ঘাম ঝরিয়েছেন দিন-রাত এক করে। সে শ্রম বৃথা যায়নি। তিন মেয়েই রাজস্থানের প্রশাসনিক পরীক্ষায় (রাজস্থান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস) পাশ করেছেন। কমলা জাঠ, গীতা জাঠ ও মমতা চৌধুরিরা এখন মায়ের মুখে তুলে দিচ্ছেন মিষ্টি। আসলে যেন তা দেশের নারীর সামগ্রিক সাফল্যেরই প্রতীক।

এ ছবি পোস্ট হওয়ার পরই নেটদুনিয়া কুর্নিশ জানাচ্ছেন ওই মাকে। অভিনন্দন তিন বোনেরই প্রাপ্য। তবে তাঁদের সাফল্য যেন মনে করিয়ে তাঁর মায়ের লড়াইকে। নারী ক্ষমতায়ন স্রেফ ক্রীড়া বা বিনোদন জগতের গ্ল্যামারের মধ্যে আটকে নেই। পোশাকের ফ্যাশন, স্টাইল স্টেটমেন্টের মধ্যেই এ শব্দের গুরুত্ব সীমাবদ্ধ নয়। বরং তার গুরুত্ব আসলে এই অর্থনৈতিক উত্তরণেই। সেই সাফল্যকে সেলিব্রেট করছেন নেটদুনিয়ার বাসিন্দারা। শশী থারুর রিটুইট করেছেন তিন বোনের কাহিনি। যদিও নেটদুনিয়ার অপর এক বাসিন্দার দাবি, পাশ করার খবর নতুন নয়। মাসখানেক আগেই তাঁরা এই সাফল্যের এই মাইলস্টোন ছুঁয়েছেন। স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যমে সে খবর প্রকাশিতও হয়েছিল। তবে সাক্ষী-সিন্ধু-দীপারা যেভাবে প্রচারের আলো পেয়েছেন, সেভাবে সর্বভারতীয় প্রচার পাননি তিন কন্যা। এই ছবি নতুন করে তাঁদের চিনিয়ে দিচ্ছে। উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট শব্দবন্ধের অর্থ হয়তো জানেন না রাজস্থানের ওই শ্রমিক মহিলা। কিন্তু দেশের উইমেন এমপাওয়ারমেন্টের ক্ষেত্রে তাঁর থেকে বড় মুখ আর কে হতে পারে!

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ