সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে যদি ঘোষণা শোনেন যে, ‘অমুক প্ল্যাটফর্মে পেপসি রাজধানী ঢুকছে’ বা ‘তমুক প্ল্যাটফর্মে আসছে কোক শতাব্দী এক্সপ্রেস’, তাহলে চমকে যাবেন না যেন! কারণ, ভারতীয় রেল এখন এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিকে আপাদমস্তক মুড়ে ফেলতে চাইছে কোনও না কোনও ব্র্যান্ডের নামে। যাত্রীদের উপর বাড়তি ভাড়ার চাপ না দিয়েও লোকসানে চলা রেলকে আর্থিক দিক থেকে চাঙ্গা করে তুলতেই রেলের এই নয়া উদ্যোগ। ভাড়া না বাড়িয়েও প্রায় ২০০০ কোটি টাকা লাভের আশা করছে রেল। ইতিমধ্যেই কোক-পেপসির মতো একাধিক বড় সংস্থা এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও খবর রেল সূত্রে।
(নোট বদল নিয়ে রেলে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি ফাঁস)
ট্রেনের নামের সঙ্গে ব্র্যান্ডের নাম জুড়ে দেওয়া নিয়ে একটি চূড়ান্ত প্রস্তাব তৈরি হয়ে গিয়েছে, যেটি আগামী সপ্তাহেই রেলওয়ে বোর্ডের বৈঠকে পেশ হবে। নয়া নীতির অধীনে একটি সংস্থা আস্ত ট্রেনকে তাদের ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য ব্যবহার করতে পারবে। বগির ভিতরে ও বাইরে- দু’দিকেই লাগাতে পারবে বিজ্ঞাপন। রেলের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, গোটা একটি ট্রেনে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সুযোগ কোনও বড় কর্পোরেট সংস্থাই ছাড়তে চাইবে না বলেই মনে করছে রেল। সেক্ষেত্রে রেলের ভাঁড়ারে বেশ কিছু অর্থও আসবে। যার সাহায্যে লোকসানে ধুঁকতে থাকা রেলকে চাঙ্গা করে তোলা যাবে।
(এবার ট্রেনের টিকিটে মিলবে বিশেষ ছাড়)
সূত্রের খবর, রাজধানী ও শতাব্দীর মতো এক্সপ্রেস ট্রেনকে আপাদমস্তক বিজ্ঞাপনে মুড়ে ফেলতে নিলাম হাঁকবে রেল। রেল ব্রিজ, স্টেশনেও বসবে বিশাল এলইডি স্ক্রিন। এর পাশাপাশি লেভেল ক্রসিং, বড় প্ল্যাটফর্মে এটিএম বসিয়ে সেই ‘স্পেস’ও ভাড়া দেবে রেল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, যিনি শৈশবে স্টেশনে চা বিক্রি করতেন, যে কোনও মূল্যে রেলের আধুনিকীকরণ চান। তবে যাত্রীদের উপর কোনও বাড়তি ভাড়া না চাপিয়ে। সূত্রের খবর, নরেন্দ্র মোদি রেল কর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে ভাড়া না বাড়িয়েও কীভাবে রেল লাভের মুখ দেখতে পারে, সে বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে বলেন। বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের উপরই জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর রোডম্যাপ অনুযায়ী রেল কর্তারা এই নয়া পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তবে এই প্রথম নয়, ইউপিএ জমানাতেও এই একই পন্থা গ্রহণ করে রেলের আয় বাড়ানোর চেষ্টা হলেও সেই পরিকল্পনা খাতায়-কলমেই থেকে যায়।