প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (CoronaVirus) সম্ভাব্য প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল প্রায় শেষ। এবার পালা দ্বিতীয় পর্যায়ের। সেইমতোই প্রস্তুতি নিচ্ছে কোভ্যাক্সিনের প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক। সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি এই করোনা ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হবে।
প্রথম পর্যায়ে দেশের মোট ১২টি চিকিৎসাকেন্দ্রে এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে ১১টি চিকিৎসাকেন্দ্রে এই পর্যায়ের ট্রায়াল সম্পূর্ণ হয়েছে বলে সংস্থা সূত্রের দাবি। শুধুমাত্র দিল্লি এইমসে এখনও প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। কারণ, দিল্লি এইমসেই সবচেয়ে বেশি মানুষকে এই ভ্যাকসিনটি দেওয়ার কথা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই হাসপাতালে মাত্র ১৬ জনের শরীরে তা দেওয়া হয়েছে। দিল্লি ছাড়া রোহতকের PGI হাসপাতালে প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের প্রথম পর্বে ৫০ জনের শরীরে এই ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছিল। এদের ট্রায়ালের যে ফলাফল এসেছে তা আশাব্যঞ্জক বলে দাবি করেছেন ওই হাসপাতালের কোভ্যাক্সিন ট্রায়ালের পর্যবেক্ষক ডাঃ সবিতা বর্মা (Dr Savita Verma)। ভারত বায়োটেক সূত্রের খবর, ভ্যাকসিনটির প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের ফলাফলের রিপোর্ট খুব শীঘ্রই জমা করা হবে। এবং সেপ্টেম্বরের প্রথম পর্যায়ে শুরু করা হবে ফেজ-২ ট্রায়াল। সেজন্য স্বেচ্ছাসেবক নেওয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিনের পাশাপাশি সেরাম ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রজেনেকার (Oxford-AstraZeneca) তৈরি করোনার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডেরও ট্রায়াল শুরু হচ্ছে ভারতে। সেরাম ইনস্টিটিউটকে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের অনুমতি দিয়ে দিয়েছেন ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (Drugs Controller General of India)। সেরামের দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী, দেশের মোট ১৭টি জায়গায় ১৮ বছরের বেশি বয়সি ১ হাজার ৬০০ জনের শরীরে এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা হবে। এই ১৭টি জায়গার মধ্যে দিল্লি এইমসও রয়েছে। DCGI সেরামকে নির্দেশ দিয়েছে, এই ১৭টি জায়গা যেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেছে নেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.