সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার কি তাহলে নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগ দূর হতে চলেছে? ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেনের জন্য অপেক্ষা কিংবা অকারণে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় ট্রেনে কাটানোর যন্ত্রণা কি ঘুচতে চলেছে? রেলমন্ত্রীর নির্দেশের পর আশার আলো দেখছেন অনেকেই। আগামী পয়লা নভেম্বরের মধ্যে অন্তত ৯০ শতাংশ ট্রেন সময়মতো চালাতে হবে, রেলমন্ত্রকের আধিকারিকদের কড়া বার্তা দিলেন পীযূষ গোয়েল। রেলমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, রেল চালানোর ক্ষেত্রে কোনও কর্মী বা আধিকারিকের কোনওরকম গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।
[কিসসা কুরসি কা! বিজেপি-পিডিপি বিচ্ছেদ নিয়ে কটাক্ষ ওমরের]
২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে সময়ানুবর্তিতার নিরিখে রেলের পারফরম্যান্স ছিল গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে জঘন্য। গত আর্থিক বছরে মাত্র ৭১ শতাংশ ট্রেন চালানো গিয়েছে সময়মতো। শেষ তিন মাসের পরিসংখ্যান আরও উদ্বেগের। শেষ তিন মাসে গোটা দেশে সময়মতো পরিষেবা দেওয়া হয়েছে মাত্র ৬৫ শতাংশ ট্রেনে। আর এই পরিসংখ্যানে বেজায় ক্ষুব্ধ রেলমন্ত্রী। বুধবার বিভিন্ন জোনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। পয়লা নভেম্বরের মধ্যে অন্তত ৯০ শতাংশ ট্রেন সময়ে চালানোর ডেডলাইন স্থির করে দিয়েছেন পীযূষ।
[মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী শিব সেনা থেকেই, বিজেপিকে ফের ধাক্কা উদ্ধবের]
রেল আধিকারিকদের দাবি, দুর্ঘটনা কমানোর জন্য গোটা দেশে প্রায় ১৮ লক্ষ জায়গায় সংস্কারের কাজ করছে রেল। গতবছর এই লাইন সারাইয়ের কাজ হয়েছিল ১৮ লক্ষ জায়গায়। এই বিপুল পরিমাণ সংস্কারের কাজ চলার জন্য সমস্যা হচ্ছে রেলের। যার ফলে সময়ে চালানো যাচ্ছেনা ট্রেন। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর শুরু থেকেই রেলের সংস্কারকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সঠিক পরিষেবা, পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। কিন্তু এসবের চক্করে বেড়েছে দুর্ঘটনা, ভাড়াও বেড়েছে বিস্তর। যার জেরে রেলমন্ত্রীর কুরসি হারাতে হয়েছিল সুরেশ প্রভুকে। কিন্তু মন্ত্রী বদলেও যে হাল খুব একটা ফেরেনি বোঝা যাচ্ছে সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে। দেখা যাচ্ছে আগের তুলনায় আরও বেড়েছে ট্রেন লেট হওযার প্রবণতা। সমস্যা আরও বেড়েছে নিত্যযাত্রীদের।
[বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি]
রেলের পক্ষে এই পরিসংখ্যানগুলিকে লজ্জাজনক বলে ব্যাখ্যা করেছেন এক আধিকারিক। রেলমন্ত্রীর নির্দেশে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দ্রুত কাজ চালিয়ে সংস্কারের কাজ শেষ করা হবে, এবং তারপরই নিয়মিত রেল চলাচল যাতে চালু করা যায় সেই ব্যবস্থা করা হবে। সেই সঙ্গে সঙ্গে রেলে পরিবেশিত খাবার নিয়ে যে বিস্তর অভিযোগ উঠছে তা নিয়েও এদিন আলোচনা করেন রেলমন্ত্রী।