Advertisement
Advertisement

এশিয়ার দ্বিতীয় দীর্ঘতম বগিবিল ব্রিজের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ২১ বছর পর এই ব্রিজের উদ্বোধন হল।

PM Modi inaugurates Bogibeel Bridge in Assam
Published by: Utsab Roy Chowdhury
  • Posted:December 25, 2018 3:58 pm
  • Updated:December 25, 2018 4:34 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রহ্মপুত্র নদের উপর ডবল ডেকার বগিবিল ব্রিজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের এই আধুনিক প্রযুক্তির ব্রিজে নিচে দু’টি রেলট্র্যাক আছে। আর উপর আছে তিনটি হাইওয়ে লেন। এই লেন এতটাই মজবুত, যে এর উপরে খুব সহজেই ভারী মিলিটারি যান চালানো সম্ভব। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ২১ বছর পর এই ব্রিজের উদ্বোধন হল। ৪.৯৪ কিলোমিটারের এই ব্রিজ নির্মাণে খরচ হয়েছে ৫,৯০০ কোটি টাকা। এশিয়ার দ্বিতীয় দীর্ঘতম রেল-রোড ব্রিজ বগিবিল।

দীর্ঘদিন ধরে এই ব্রিজ তৈরি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনও সরকারের আমলেই এই প্রকল্প শেষ করা সম্ভব হয়নি। এই ব্রিজ তৈরি হওয়ার পর মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যে আসাম থেকে অরুণাচল প্রদেশে যাওয়া সম্ভব। দিল্লি থেকে ডিব্রুগড় যেতেও তিনঘণ্টা কম সময় লাগবে। ব্রহ্মপুত্রের উপর এটি চতুর্থ ব্রিজ। এখনও পর্যন্ত কেরালার ভেম্বানাদ রেলব্রিজ দেশের সবথেকে দীর্ঘতম ছিল। এর দৈর্ঘ্য ৪.৬২ কিলোমিটার। এদিন দুপুরে ডিব্রুগড় বিমানবন্দরে নামেন প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। তারপরই উদ্বোধন করলেন বহুপ্রতীক্ষিত বগিবিল ব্রিজ। উদ্বোধনের পর মোদি বলেন, “এদিন আসামের ঐতিহাসিক দিন।”

Advertisement

[মুঘলদের মতো কমিউনিস্টরাও দেশের সংস্কৃতি ধ্বংসের চেষ্টা করছে: বিপ্লব দেব]

প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রিজ সম্পর্কে জেনে নেব কিছু তথ্য:

Advertisement

১৯৮৫ সালে প্রথম এই ব্রিজ হওয়ার পরিকল্পনা আসে। মূলত অরুণাচলের সঙ্গে যোগাযোগ প্রশস্ত করার জন্য এই ব্রিজের কথা ভাবা হয়। ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০২ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে এর কাজ শুরু হয়। বাজপেয়ীর জন্মদিনেই এই ব্রিজের উদ্বোধন করলেন নরেন্দ্র মোদি। কয়েকমাস আগে এই ব্রিজের নাম অটল সেতু করার প্রস্তাব দেন এক বিজেপি নেতা। কিন্তু সেই প্রস্তাব ভেস্তে গিয়েছে।

[কিমের মতোই হত্যাকারী মমতা’, বিতর্কিত মন্তব্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর]

ব্রহ্মপুত্রের দৈর্ঘ্য ৬০০ থেকে ৯০০ মিটার। ৩৯টি ১২৫ মিটারের গ্রিড ও ৩৩ মিটারের দুটি গ্রিডের সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে এই ব্রিজ। এই ব্রিজে আনুমানিক আয়ুকাল ১২০ বছর। উত্তর-পূর্বের মানুষের কাছে এই ব্রিজ ১৬৫ কিলোমিটার দূরত্ব কমাবে। যার ফলে প্রত্যেকদিন ১০ লক্ষ টাকার তেলের খরচ বাঁচবে। এই ব্রিজের ফলে অরুণাচলে ইন্দো-চিন সীমান্তের কিবিথো, ওয়ালং, ছাংলাম অঞ্চলে সেনাবাহিনীর অস্ত্র-খাবার পাঠানো অনেক সহজ হয়ে যাবে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ